মোঃ সোহাগ,ককসবাজার সদর:
কক্সবাজার সদরের লিংকরোড়ে তরুণী ধর্ষণ ঘটনায় সাজানো ও মিথ্যা মামলা দাবী করে উক্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনার মামলায় দু‘জনকে আটক ও করেছে পুলিশ। তবে আটককৃত মোঃ নাছির ও আব্দুল্লাহর পক্ষে এলাকাবাসীর বক্তব্য ভিন্ন এবং এ ব্যাপারে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তাদের দাবী, উক্ত ঘটনা সর্ম্পুর্ন সাজানো। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের ফাসাঁনো হয়েছে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং সচেতন মহল তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সেই সাথে নাছির ও আব্দুল্লাহর নি:শর্ত মুক্তি চেয়েছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর বক্তব্য,তাদের দুই পরিবারের জমি সংক্রান্ত সীমানার বিরোধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। উক্ত সীমানা বিরুধের জের ধরে আটকৃতদের নানা ভাবে ফাসানোর চেষ্টা করে আসছিল কিন্তু তারা সফল হয়নি।
নিরহ নাছির ও আব্দুল্লাহর মত দুজন নিষ্পাপ কলেজ ছাত্রকে এভাবে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা মোটেও ঠিক হচ্ছেনা।
আমরা উক্ত ঘটনার সুষ্টু তদন্তপূর্বক প্রকৃত আসামীদের শাস্তি দাবী করছি, সে সাথে নিরপরাধ নাছির ও আব্দুল্লাহর নি:শর্ত মুক্তি চাই।
উক্ত মানববন্ধনে লিংকরোড়ের বিসিক এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবি মানুষ উপস্থিতে ছিলেন।
তাদের দাবী,সুষ্টু তদন্ত করে আসল অপরাধীদের আইনের সামনে আনা হউক। এরকম সাজানো মিথ্যা মামলায় দুটি ছেলের জীবন অনিশ্চয়তায় কখনো মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত মামলার বাদী আব্দুল হামিদ ও আটককৃত নাছিরের পিতা মফিজুর রহমানের বাড়ি পাশাপাশি। তাদের সীমানা বিরোধ মিমাংসার জন্য অনেকবার সামাজিকভাবে বৈঠকও হয়েছিল কিন্তু মামলার বাদী আব্দুল হামিদ কিছুতেই সন্তুষ্ট ছিলনা। শেষমেষ ঝিলংজা ইউনিয়নের স্থানীয় মেম্বার কুদরত উল্লাহ শিকদার মধ্যস্থ হয়ে মিমাংসাও করে দেন।
এব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার কুদরত উল্লাহ শিকদার জানান, তাদের সীমানা বিরোধ ছিল তা আমি সমাধান করে দিয়েছিলাম। ধর্ষন বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, শুধু জানি একটি মামলা হয়েছে এবং তাতে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ ।
তবে আমি চাই, উক্ত মামলার সুষ্টু তদন্ত পূর্বক আসল অপরাধী বেরিয়ে আসুক। কোন নিরহ ব্যক্তি যেন ফেঁসে না যায়। সে সাথে প্রকৃত অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।