লামা থেকে ফিরে , আবু বক্কর ছিদ্দিক :
পাহাড়ী জনপদ বান্দরবান জেলার লামা বাজার- গজালিয়া- ফাইতং বাজার- বানিয়ারছড়া বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে ১ বছর ধরে। এ সড়কে অত্যাধুনিকভাবে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ৪টি ব্রীজ সহ বহু কালভার্ট। এছাড়া সড়কের দু’পাশে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ড্রেইন সহ গাইড ওয়াল । তবে ব্রিক ফিল্ডের ভারি যানবাহনের কারণে সড়ক, ড্রেইন ও গাইড ওয়াল ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে । এ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে লামা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে । যাত্রীরা এ সড়কটি ব্যবহার করতে পারলে এক দিকে যেমন সময় সাশ্রয় হবে অন্যদিকে অর্থও সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন এ উপজেলার লোকজন । এ দৃষ্টি নন্দন সড়কটি রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর রাখা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে । অপর দিকে ফাইতং বাজার থেকে বানিয়ার ছড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটিতে মেরামতের হাত না দেয়ায় এখন সড়কের উপর বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে । ফলে উক্ত সড়ক দিয়ে যানচলাচলের যেমন বিঘ্নিত ঘটছে তেমনি ভাবে কোমলমতী ছাত্র-ছাত্রীদেরও পোহাতে হচ্ছে অবনীয় দুর্ভোগ ।
লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে , লামা উপজেলার পাশ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকের জমি রয়েছে এ উপজেলায় । এমন কি বিভিন্ন প্রজাতীর বাগান , ব্যবসা প্রতিষ্টান ও ইট ভাটা সহ বহু প্রতিষ্টানের পরিচালক চকরিয়া অঞ্চলের । এছাড়া লামা উপজেলার সদরের সাথে এক মাত্র যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ফাঁসিয়াখালী হাঁসের দিঘী টু লামা বাজার সড়কটি । লামা উপজেলার আজিজ নগর ও ফাইতং ইউনিয়নের লোকজনকে দ্বীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে হাঁসের দিঘী হয়ে লামা সদরের সাথে যোগযোগ করতে হত । জনগনের এ দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বানিয়ার ছড়া বাজার টু লামা বাজার সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন । ফলে উক্ত মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বহু দেয়ান – তকবির করে এ দ্বীর্ঘতম সড়কটি নির্মাণের জন্য সরকার থেকে বাজেট বরাদ্দ পান । বাজেট পাওয়ার পর পরই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা ফাইতং বাজার থেকে লামা বাজার পর্যন্ত সড়কটিতে দ্রুতগতিতে নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে । এমনকি দৃষ্টিনন্দন ৪টি ব্রীজ সহ বহু কালভার্ট , ড্রেইন ও গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হওয়ার পথে । তবে বদর ঠিলা নামক স্থানটি বহু উঁচু হওয়ায় সেখানে ঢালাই কাজে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মরত শ্রমিকেরা । ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় , ইট ভাটার ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে নির্মাণাধীন এ দৃষ্টিনন্দন সড়কটি ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে । সর্বপরি এলাকাবাসির লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় , এ সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে লামা উপজেলা সদরের গুরুত্ব অনেকটা বেড়ে যাবে এবং বৃদ্বি পাবে পর্যটকদের পদচারণা । এছাড়া বিভিন্ন হাতে সরকারী রাজস্বও বৃদ্বি পাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা ।