মো:জাবেদুল আনোয়ার
স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ IWR প্রকল্পের বাৎসরিক অগ্রগতি অবহিতকরন ও শিখন সভা সম্পন্ন হয়েছে।
২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রামু উপজেলা বাঁকখালী কনফারেন্স হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালাটি শুরু হয়। উক্ত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রজেক্ট ম্যানেজার জাপানের নাগরিক ইউজিনলী। তাছাড়া ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ IWR প্রকল্পের বাৎসরিক অগ্রগতি অবহিতকরন ও শিখন সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি, বিশেষ অতিথি হিসাবে ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন, রামু উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ক্যছাই মং চাক,রামু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী, রামু প্রেসক্লাব সভাপতি নীতিশ বড়ুয়া, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্স, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালেহ আহমদ, কো-অর্ডিনেটর ওয়ার্ল্ড ভিশন জাপান মিসেস মিয়াকু, প্রজেক্ট ম্যানেজার IWR প্রকল্প রামু ইউজিনলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া উক্ত কর্মশালায় এ ৪ টি কর্ম এলাকার শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, ও উপকারভোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত কর্মশালায় প্রকল্পের এক বছরের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ, বেস্ট প্রাকটিস ও শিখন সমূহ মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন IWR প্রকল্পের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান। প্রকল্পের অগ্রগতি উপস্থাপনার পর প্রকল্পের উপকারভোগী সদস্য, শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, ও অন্যান্য অংশগ্রহনকারীগন প্রকল্পের চলমান কর্মকান্ডের উপর তাদের মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
জানা যায়, প্রকল্পটি রামু উপজেলার ৪ টি ইউনিয়ন,ফতেখাঁরকুল, জোয়ারিয়ানালা, গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়ার ৩০ টি গ্রামে কাজ করছে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হলো রামু উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের লক্ষ্যবস্তু গ্রামে শিশুসহ দরিদ্র পরিবারের জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানেটারি ল্যাট্রিনের প্রবেশাধিকার নিশ্চত করে পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতির উন্নতি সাধন করা। উক্ত প্রকল্পটি ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ ইং হতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। গত ১ বছরে ৪ টি ইউনিয়নের ৩০ টি গ্রামে মোট ৪৮ টি পানির উৎস (ডিপ-টিউবয়েল-২১টি,শ্যালো টিউবয়েল-২০ টি,, ও ডিপ টিউবয়েল উইথ সাব মার্সেবল পাম্প-৬ টি) স্থাপন করেছেন। যেখানে সরাসরি ৮৪৭ টি পরিবারের ৪০৫১ জন জনগন সরাসরি নিরাপদ পানির সুবিধা পাচ্ছেন। তাছাড়া ১৬ টি কমিউনিটি টয়লেট স্থাপন করেছেন যেখানে সরাসরি ১৪৮ টি পরিবারের ৭১৬ জন লোক উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। এদিকে প্রকল্পটি কর্ম এলাকার মধ্যে ২০ টি হাই স্কুল ও মাদ্রাসায় ওয়াস কার্যক্রম বাস্থবায়ন করছেন। এই ১ বছরে ৪ টি ওয়াস ব্লক, ২ টি লেট্রিন রিনোভেসন, ৪ টি হ্যান্ড ওয়াসিং ষ্টেশন স্থাপন, ২ টি ডিপটিউবয়েল স্থাপন করেছেন,
যেখানে মোট ১১ টি প্রতিষ্টানের ৫২৩৯ জন ছাত্র-ছাত্রী সরাসরি নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রকল্পটি গত ১ বছরে স্বাস্থ্যবিধি ও আচরনের উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে যেমন, স্বাস্থ্য সর্ম্পকিত জন সচেতনতামূলক সেশন, পোষ্টার লিফলেট বিতরন, দিবস উৎযাপন, বিভিন্ন ষ্টেকহোল্ডারদের সহিত এডভোকেসি মিটিং ইত্যাদি। যেখানে গত এক বছরে সর্বমোট ৪৪,৯২১ জন জনসংখ্যা প্রত্যক্ষভাবে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এই প্রকল্পটি রামু উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখছেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ IWR প্রকল্পের বাৎসরিক অগ্রগতি অবহিতকরন ও শিখন সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা জিয়াউর রহমান, গীতা থেকে পাঠ করেন শ্রীমত কাজল,বাইবেল থেকে পাঠ করেন টমাস বিশ্বাস,ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন সুমন্ত বড়ুয়া। এবং উক্ত পোগ্রামের সঞ্চালনায় ছিলেন IWR প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার মৌমিতা বিশ্বাস।