মোঃ শিবলী সাদিক, রাজশাহী।
রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক বিভাজকে লাগানো হয়েছে সূর্যমুখী ফুল। এই ফুলগুলো থেকে সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে আয়ের সম্ভাবনা।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিবেশ উন্নয়ন শাখা শহরের মোট চারটি সড়কে এসব ফুলের গাছ লাগিয়েছে। এর আগে গত দুই বছর প্রাথমিকভাবে একটি সড়ক বিভাজকে সূর্যমুখী গাছ লাগানো হয়েছিল। এবার অন্তত ১০ হাজার সূর্যমুখী গাছ লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নগরীর বিলশিমলা থেকে কাশিয়াডাঙ্গা, তালাইমারি থেকে কোর্ট চত্বর, তালাইমারি থেকে ভদ্রা, আলিফ লাম মিম থেকে বিহাস পর্যন্ত সড়কের ওপর প্রজাপতির মতো ডানা মেলে আছে সড়কবাতি। তার নীচে হাসছে সূর্যমুখী ফুল।
রাজশাহীর সড়কে হাসছে সূর্যমুখী, আয়ের সম্ভাবনা
নগরবাসীরা বলছেন, দেশের অন্য কোনো শহরে এতো সুন্দর সড়কবাতি আছে কি-না জানা নেই। আর এখন সড়ক বিভাজকে বাতির পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুল সৌন্দর্য আরও বাড়িয়েছে।
সাহেববাজার এলাকার বাসিন্দা মজিদ আলী বলেন, “আগে সড়কে অন্য ফুল লাগানো হতো। খুব একটা ভাল লাগতো না। কিন্তু এখন সূর্যমুখী লাগানোর কারণে সড়কগুলো দেখতে ভাল লাগে। বিকালে এই পথ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করি। ফুলগুলোর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে।”
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ উল ইসলাম বলেন, “এসব সূর্যমুখী গাছ থেকে সৌন্দর্যের পাশাপাশি অর্থও আসবে। গতবছর আমরা একটি সড়কে সরিষা করেছিলাম। সেখান থেকে দেড় মণ সরিষা পেয়েছিলাম। এবার যে সূর্যমুখী হবে তা থেকে ভাল তেলবীজ পাওয়া যাবে।”
রাজশাহীর সড়কে হাসছে সূর্যমুখী, আয়ের সম্ভাবনা
এই কর্মকর্তা বলেন, “তেলের দাম অনেক সময় বেড়ে যায়। আমরা মানুষকে উৎসাহ দিতে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আইল্যান্ডের জমি তেমন উর্বর নয়। তবু সেখানে সূর্যমুখী ভাল হচ্ছে। তাহলে বাড়িতে বা পতিত জমিতে আরও বেশি উৎপাদন হবে। মানুষ যদি সূর্যমুখী গাছ নিজেদের বাড়িতে চাষ করতে শুরু করে তাহলে তেলের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।”