মোঃ শিবলী সাদিক, রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে ভুয়া ডাক্তারের ছড়া ছড়ি ও শিশুদের চিকিৎসা দেওয়ার নামে চলছে অপ চিকিৎসা। ১-২ বছরের শিশু বাচ্চাদের দেওয়া হচ্ছে হায়ার এন্টিভাইটিক ও স্টেরয়েড। বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে শ্রী অনুপ কুমার নামে এক ভুয়া ডাক্তারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
শিশুদের চিকিৎসা করে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে সেই সাথে তিনি সরকারি চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন। বাগমারা উপজেলার হাটমাধনাগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট পদে কর্মরত রয়েছেন। নির্বিঘ্নে চিকিৎসা করে যাচ্ছেন শিশু বাচ্চাসহ সকল বয়স্ক ব্যক্তিদের।
তার নাই কোন ডাক্তারি সার্টিফিকেট শিশুদের ভুল চিকিৎসার কারণে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বাগমারা উপজেলার হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারের ১৪ জন জৈনেক ব্যক্তি সাংবাদিকের কাছে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সে, হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে চার রাস্তার মোড়ে বালিকা উচ্চবিদ্যালয় রোডে তার নিজস্ব চেম্বারে সকাল আটটা থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত রোগী দেখেন।
তিনি সরকারি চাকুরিজীবি হয়েউ নিয়মিত বাগমারা উপজেলার হাটমাধনাগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে জান না। শুধু তার নিজ চেম্বারে রোগী নিয়েই ব্যস্ত থাকেন।
সরজমিনে তার চেম্বার হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল আটা থেকে শিশু বাচ্চাদের কোলে নিয়ে বসে আছে অনেক রোগীর অভিভাবক।
সরজমিনে হাটমাধনাগর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ১২ টার পর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাউকে পাওয়া যায়না। হাটমাধনাগর এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দুপুর ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে অনুপ কুমার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থাকেন না।
এ বিষয়ে ডাক্তার অনুপ কুমার বলেন, আমার ডাক্তারি করার কোন সার্টিফিকেট নেই, ও এন্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড লেখার কোন অনুমতি নাই। আমার কাছে চিকিৎসা করে অনেকে ভালো হয়েছে আবার খারাপও হয়েছে। আমাকে তো কেউ মানা করেনি। আমার দুটি কোর্স করা আছে, আর এমপি ও এল ডি এম এস ও ডি ফার্মাসিস্ট।
প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায়, খবরের কাগজে, ফেসবুকে ও ইন্টারনেটে দেখা যায় ভ‚য়া ডাক্তারদের নিয়ে অনেক সংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এইসব ভ‚য়া ডাক্তারদের ভ‚য়া চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। তার সাথে সাথে বেড়েছে মৃত্যুর হারও।
দেশে মান সম্মত চিকিৎসা পাচ্ছেন মাত্র ১৮% মানুষ। চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ৭% মানুষ। সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
এইসমস্ত ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় ই বছরের পর বছর চলতে থাকে মৃত্যুর মিছিল, তার সাথে সাথে স্বাস্থ্যঝুঁকি তো আছেই।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডঃ আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক জানান, ডি ফার্মাসিস্ট, আর এম, পি ও এল,ডি, এম, এস কোর্স করা কোন ব্যক্তি হায়ার এন্টিবায়োটিক ও স্টেরোয়েড এবং বাচ্চাদের চিকিৎসা করতে পারবে না। কেউ যদি করে থাকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমরা আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।