|| রাঙামাটি প্রতিনিধি ||
রাঙামাটিতে নিত্যপণ্য মূল্যের সরকারের বাঁধাধরা নিয়ম-নীতি মানছে না কেউ। প্রায় প্রতিটি পণ্যে বিক্রিতে চলছে কারসাজি। ওপরন্ত গরুর মাংস বিক্রিতাগণ রোববার পর্যন্ত ৯ দিন ধরে গো-মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছে।
মাংস বিক্রেতা ও ক্রেতাগণ জানিয়েছে, রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রশাসনে পক্ষ থেকে মাছ, মুরগী, ছোলা,চিনি, খেজুর ও গরু, ছাগলের মাংসের মূল্যসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের পাইকারী ও খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। এর মধ্যে গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা ও ছাগলের মাংসের দর ১০০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রশাসনের তরফে ঘোষিত নিত্যপণ্যের নির্ধারিত নিয়ম ব্যবসায়ীরা সর্বাংশে মানছে না। এ নিয়ে প্রশাসনের সাথে বিক্রেতাদের চলছে ইদুর-বেড়াল খেলা। তার ওপর একধাপ এগিয়ে প্রশাসনের নির্ধারিত ধরাবাঁধা মূল্যের প্রতিবাদে ৯ মার্চ (শনিবার) থেকে স্থানীয় মাংস বিক্রেতাগণ জেলায় মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছে। রাঙামাটিতে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ সরকারকে চ্যালেন্জ ছুড়ে দেয়ায় অবস্থা দৃষ্টে ক্রেতা সাধারণের অসহায়ত্ব প্রকাশ ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই। অথচ ভোক্তা স্বার্থে প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ মার্চ থেকে ২৯পদের নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু মাংস বিক্রেতাগণ তার আগে থেকেই প্রশাসনের কাছে অযোক্তিক মূল্যে মাংস বিক্রির সুবিধা পেতে তদবির চালাচ্ছিল।
নিত্যপণ্যের মধ্যে খেজুর শ্রেণীভেদে কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ১৬০০ টাকা, পেয়াজ কেজি প্রতি১২০ থেকে
১৩০ টাকা, ছোলা কেজি প্রতি ১২০ টাকা, মুটরসুটি
৮৫থেকে ৯০ টাকা, চিনি কেজি প্রতি ১৫০টাকা, ভোজ্য তেল শ্রেণীভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, আলু কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, শাক মুঠোপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা ও লেবু হালিপ্রতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ ব্রয়লার মুরগী কেজি প্রতি ২১০ টাকা, মাছের দাম কেজি প্রতি বাড়তি গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
পাহাড়ের মানুষের ধরাবাঁধা আয়ের ওপর ভিত্তি করে চলা খুবই কঠিন। তার ওপর রমজানে রহমতের পরিবর্তে যেন পাহাড়ের মানুষের ওপর আযাব চাপিয়ে দিয়েছে এমন ক্ষেদোক্তি সাধারণ ক্রেতাদের। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি প্রসঙ্গে স-মিলের শ্রমিক মো: মুরাদ বলেন, জীবন নিয়ে কোন মতে বেঁচে আছি ।
পর্যটন শহর রাঙামাটিতে গরু-ছাগলের মাংস বিক্রি বন্ধ থাকায় ভোজনরসিক পর্যটকরা পাহাড় ভ্রমণে এসে বেকায়দায় পড়ছে। প্রশাসনের দাম বেঁধে দেওয়ার প্রতিবাদে গত ৯ দিন ধরে গরু-ছাগলের মাংস বিক্রিই করছেনা তারা। দিন দিন শহরে বাড়ছে চুরির ঘটনাও।
তবলছড়ি বাজারে মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ক্রেতা ক্ষোভের সাথে বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও অভাবের কারণে চরমভাবে ভুগছে নিন্ম আয়ের এক কথায় পাহাড়ের মানুষের আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে গেছে।