শহিদুল ইসলাম সুমন ,চট্রগ্রাম:
সম্প্রতি দৈনিক কয়েকটি পত্রিকায়,ঘুষ দিয়ে চেয়ারে বসেছি,ফ্রিতে সেবা দিতে আসিনি’এমন সংবাদ পরিবেশন করতে দেখা যায়।আসলে সংবাদটি কতটুকু সত্যি তা তদন্তে দেখা যায় চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল মিথ্যা সংবাদের চক্রান্তের শিকার। আসলে ঘটনাটি ঘটে ২২মে ২০২৩ইং।
সেদিন চান্দগাঁও থানায় গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম নগরীর মোহরা ওয়ার্ড এ-ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।তাঁর সঙ্গে চান্দগাঁও থানা মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন,সানোয়ারা আবাসিক এলাকার সভাপতি মুজিবুর রহমানসহ আরও কয়েকজন থানায় গিয়েছিলেন।তাঁদের উপস্থিতিতেই আমিনুল ইসলামকে লক্ষ্য করে ওই মন্তব্য করেন বলে ওসি খাইরুল ইসলাম এর অভিযোগ করা হয়।তবে তাঁর এ ধরনের মন্তব্যের কোনো অডিও বা ভিডিও রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
আমিনুল ইসলাম এর মতে,পারিবারিক বিরোধের জেরে তাঁর বড় ভাই তাঁকে ও তাঁর প্রবাসী ছোট ভাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১৪ মে চান্দগাঁও থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন। এরপর আমিনুল ২২ মে তাঁর বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা করতে যান। তিনি বলেন,ওই মামলা (বড় ভাইয়ের করা মামলা) রেকর্ডের আগে উনি (থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আমাকে কোনো কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।২০মে আমি আদালত থেকে জামিন নিই।’
আমিনুল আরো অভিযোগ করেন,২২ মে রাত ৯টায় আমি ও আমার আরেক ভাইসহ কয়েকজন মিলে চান্দগাঁও থানায় গিয়েছিলাম আমাদের বিরুদ্ধে যিনি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন,তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে। কিন্তু ওসি আমাদের অভিযোগটি গ্রহণ করেননি।
অপরদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)সংবাদ সম্মেলনে বলেন,টাকা দিয়ে ওসি পদে বসার সংবাদ মিথ্যা ও অসত্য। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।
গতকাল মঙ্গলবার(৩০মে)বিকেলে নগরের দামপাড়ায় সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আ স ম মাহতাব উদ্দিন।
তিনি বলেন,চান্দগাঁও থানার মোহরা এলাকায় একটি পারিবারিক সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা মামলা করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে।
এমনকি ভুল তথ্য তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
টাকার প্রসঙ্গে সিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, সংবাদে ওসির বরাত দিয়ে টাকার কথা বলা হয়েছে। এখন এই টাকার কথা ওসি কাকে কাকে বলেছে? তার প্রমাণ বা ডকুমেন্ট কোথাও নেই।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সরেজমিনে অনুসন্ধান করে পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে আহ্বান জানান।
টাকা দিয়ে পদ বাণিজ্যের বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ওসি খাইরুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিউজ ভিশনকে বলেন,একটি পক্ষ তদবিরে সুবিধা করতে না পেরে এ ধরনের ভুল সংবাদ পরিবেশন করানোর চেষ্টা করছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে থানায় যে কেউ আইনি সুবিধা নিতে পারেন।
টাকার বিনিময়ে ওসি পদে বসার একটি সংবাদ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়