মোঃ আকিব,মাতার বাড়ি থেকে-
আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স:)। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে-এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হয়রত হযরত মুহাম্মদ (সা:)। এই দিনেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
এ উপলক্ষে সারাদেশসহ মাতারবাড়ীতেও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদার মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে। মুসলমানরা বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিলসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছে। ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’-এর অন্ধকার দূর করতে মহান আল্লাহ তায়ালা এই শ্রেষ্ঠ মহামানবকে পৃথিবীতে পাঠান। পরবর্তীতে তিনি বিশ্বে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তারা দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে তারা মহানবীর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রার্তৃত্ববোধ ও মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুসের আয়োজন করা হয়েছে চট্টগ্রামে এরই ধারাবাহিকতায় মাতারবাড়ীতেও হাজারো মানুষের ঢল।
নেতৃত্ব দিয়েছেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ মাতারবাড়ী ইউনিয়ন শাখা, মজিদিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, রশিদিয়া হাশমতিয়া দাখিল মাদ্রাসা সহ আরোও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সহযোগিতায় ছিলেন নবী প্রেমিক ফকির শাহ (রাঃ) সংগঠনের সদস্যবৃন্দ, রজভীয়া নূরীয়া বাংলাদেশ, মাতার বাড়ি মজিদিয়া স্টুডেন্ট সোসাইটি, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন শাখার সদস্যবৃন্দসহ নানান ইসলামিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দরা।
আজ (১০ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় মজিদিয়া সুন্নিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা ও তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা থেকে এই জুলুস বের হয়। এর আগে মোনাজাতে মাধ্যমে জুলুস শুরু করেন। মাতারবাড়ী ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন ধলঘাটার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লাখো সুন্নী মুসলমান এতে অংশ নেন। জুলুসটি মাতার বাড়ীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেছে। এসময় বিশেষ বিভিন্ন পয়েন্টে দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ কিয়াম দুরুদে সালাম মোনাজাত করা হয়।