আবুল কাসেম-সংবাদদাতা(মহেশখালী,ককসবাজার)
আজ ১৭ই জানুয়ারি রোজ শুক্রবার,সকাল ৭টা থেকেই বসছে কাঁচামালের বাজার,যেখানে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটেছে ব্যাপক।
গত ১৫ জানুয়ারি ৬জন স্বাক্ষরিত মহেশখালী উপজেলা ইউএনও বরাবর আবেদন পত্র জমা দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
আনচার,কাসেম,ফারুক ও শহীদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হেদায়েত উল্লাহ কে চালাীয়াতলী স্থায়ী বাজার প্রতিষ্টার প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।
তারা বলেন-মহেশখালীর বাজার কেন অন্য উপজেলা তথা বদরখালীতে প্রতিষ্ঠিত হবে? মহেশখালীর জনগণ সরকারি সেবায় অনেক কিছু দিয়েছেন, যেমন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র,গভীর সমুদ্র বন্দর,সোনাদিয়া পর্যটন এরিয়া ইত্যাদি।
বিনিময়ে মহেশখালীর জনগণ কিছু পাচ্ছে না,কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বাহিরের লোক,বাজার গড়ে উঠেছে বদরখালীতে,এটি মহেশখালীর ব্যবসার কেন্দ্র বিন্দু হয়েছে উঠেছে অথচ আচরণ গত কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্চে না, চুরি,ডাকাতি, হত্যা ও গণধর্ষণের মত ঘৃণ্য অপরাধ তারা করতে লজ্জা বোধ করছে না।
সুতরাং মহেশখালীর স্টেশন ও কাচাঁমালের বাজার মহেশখালীর প্রবেশপথ চালীয়া তলীতেই হওয়া উচিত বলে দাবি করেন তারা।
গত ১২ জানুয়ারি বোনের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বদরখালী টু মহেশখালী ব্রীজ থেকে প্যারাবনে নিয়ে মহিলা কলেজের ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়,ফলে নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে মহেশখালীতেই বাজার প্রতিষ্টার জোর দাবি উঠে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:হেদায়েত উল্লাহ তাদের যুক্তি ও প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে স্থায়ী বাজার প্রতিষ্টার পক্ষে ঐক্যমত পোষণ করেন।
তিনি এ আশ্বস্তও করেন যে, চালীয়াতলীতে সরকারী খাসজমি চিহ্নিত করে,প্রয়োজনে ইজারা দিয়ে স্থানীয় লোকজন চাইলে বাজার অবশ্যই প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ফলে আজ সকাল ৭টা থেকেই ব্যবসায়ীদের কেনাকাটা করতে ব্যস্থ দেখাগেছে, স্থানীয় লোকজন খুশিতে সেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করছেন,তাদের কথা হলো নিজেদের বাজার নিজেরা গড়ে তুলবে,এভাবে প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার সপ্তাহে ২দিন বাজার বসবে।
এ বজার স্থায়ী হলে মহেশখালী মানুষের জীবন মান উন্নত হবে,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এমন কি যায়গা জমির ন্যায্য মুল্যসহ পান,লবনের মুল্যও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন।