রোকনুজ্জামান সবুজ জামালপুর ঃ
সরিষাবাড়ি উপজেলার বাউসী বাঙ্গালীপাড়া এলাকায় বসতবাড়ির পাশে লেয়ার মুরগী খামারের মুরগীর বিষ্টার দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়েছে স্থানীয় জনজীবন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাউসী বাঙ্গালীপাড়ায় মোঃ মানিক মিয়া পাকা বসতবাড়ি নির্মান করে ৭-৮ বছর যাবত বসবাস করছেন। বাড়ি নির্মাণ করার দুই বছর পর স্থানীয় মৃত হোসেন মুন্সির পুত্র মোঃ আয়নাল মিয়া তার বাড়ি সংলগ্ন একটি লেয়ার মুরগীর পোল্ট্রি খামার করেন। পরিবেশ দূষণ ও দূর্গন্ধের কথা ভেবে খামার প্রতিষ্ঠার শুরুতেই এলাকার সচেতন মানুষ বাঁধা দেয়। এরপরেও প্রভাব খাটিয়ে সেখানে লেয়ার মুরগীর খামার প্রতিষ্ঠা করা হয়। খামারের পচা ময়লা ও মুরগীর বিষ্টা বসতবাড়ির আশপাশে ফেলার কারনে দূর্গন্ধে স্থানীয় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে স্থানীয় বসত বাড়িতে থাকা শিশু থেকে বৃদ্ধরা। মুরগীর বিষ্টার দুর্গন্ধে এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। দুর্গন্ধের কারনে মুসুল্লিরা ঠিকভাবে নামাজও পড়তে পারছেন না। মুরগীর বিষ্টার দুর্গন্ধে স্থানীয় জনজীবন অতিষ্ট হলেও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা।
সরিষাবাড়ির বাউসী বাঙ্গালী পাড়ার লেয়ার মুরগী খামারের পাশে বসবাসকারী মোছাঃ আনোয়ারা বেওয়া জানান, তিনি এব্যাপারে গত ২৯ জুলাই জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করার জন্য সরিষাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গত ২৮ আগস্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ২৩৮/১(২) স্মারকমূলে একটি পত্র প্রদান করেছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করতে সরিষাবাড়ি উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। এঘটনার পর সরিষাবাড়ি উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ বাদশাহ মিয়া অভিযোগকারীকে না জানিয়ে হঠাৎ করে মুরগী খামার মালিক মোঃ আয়নাল মিয়াকে সাথে নিয়ে অভিযোগকারীর বাসায় যান। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ বাদশাহ মিয়া অভিযোগকারীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন এবং জোরপূর্বক একটি কাগজে সাক্ষর করতে বলেন। সাক্ষর না দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারীর সাথে অশালীন ভাষায় কথা বলে ফিরে যান। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার সাথে খামার মালিক নিজেও অশালীন ভাষা ব্যবহারসহ অভিযোগকারীকে নানা হুমকী দিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার পরিবেশ রক্ষায় মুরগীর খামারটি আবাসিক এলাকা থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার জন্য জামালপুুরের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০