ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
জলাবদ্ধ পতিত জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে ভাসমান সবজি চাষ হচ্ছে ঠাকুরগাঁওয়ে। এসময় লাউসহ বিভিন্ন সবজির চাহিদাও বেশ। বস্তা পদ্ধতি ভাসমান এই চাষে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হওয়ায় আশা করছেন স্থানীয়রা।
জলাবদ্ধতায় পরিত্যক্ত ২০ শতাংশ জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে ভাসমান লাউ চাষ করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনা (নামাজ পড়া) গ্রামের কৃষক রুবেল ইসলাম। পানির ওপরে এখন বাঁশের মাচায় ঝুলছে শত শত লাউ। কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ছাড়াই শুধু জৈব সার ব্যবহার করে সবজি উৎপাদন করছেন তিনি।
অন্য জমির তুলনায় বিষমুক্ত এই সবজির ফলনও হয়েছে দ্বিগুণ। ভাসমান সবজির সাথে মাছও চাষ করছেন। সমন্বিত চাষে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ার আশায় খুশি এ কৃষক পরিবার।
পরিচর্যা ছাড়া তেমন পরিশ্রম নেই ভাসমান সবজি চাষে। ২০ শতাংশ জমিতে ১০ হাজার টাকা খরচ হলেও প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা আয়ের আশা ঐ কৃষকের।
পরিত্যক্ত ডোবা, জলাশয় বা অনাবাদী জমিতে ভাসমান বস্তা পদ্ধতিতে সবজি চাষ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায়। উপজলো কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন, আগে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ভাসমান সবজি চাষ হতো, ঠাকুরগাঁওয়ে বস্তা পদ্ধতিতে ভাসমান সবজি চাষ নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন, এই প্রথম ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এধরনের সবজি হিসেবে লাউ চাষ করেছে রুবেল নামক একজন কৃষক, কৃষি বিভাগ সর্বদা সঠিক পরামর্শ দিবে রুবেলকে, যাতে আরো অনেক কৃষক জলাশয় বা পানির উপরে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে আগ্রহ হয়।