বরিশাল ব্যুরো :
আমরা মাদকশক্ত সহ কেহ মাদক ব্যবসায়ী হতে চাই না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ সহ মুক্তিযুদ্ধর রক্ত রঞ্জিত মাটির স্বাধীন দেশে রিক্সা চালকদের সন্তানেরা শিক্ষায় সু-শিক্ষিত হতে চাই।
ব্যাটারীচালিত রিক্সা চালকদের ২ দফা দাবী আদায়ের আমরণ অনশনের চলমান ২য় দিনে রিক্সাচালকদের সন্তানরা কান্না কন্ঠে এভাবেই তারা দাবী মেনে নেয়ার জন্য মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের প্রতি দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
আজ বৃহস্পতিবার (০৩ই অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে ব্যাটারীচালিত রিক্সা চালক মজনু (৭০) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্যালাইন দিয়ে দ্রুত শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে সহযোদ্ধা রিক্সা চালকরা।
অপরদিকে বেলা ১টারদিকে রিক্সাচালক নেতা শুশান্ত শুকুল সেও অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকেও শের-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে অনশনস্থানে স্যালাইন দেয়া অবস্থায় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে ১০ জনকে। এরা হচ্ছে বাবুল তালুকদার (৬৫),জাকির হোসেন (৪৫), সোহরাব হোসেন হাওলাদার,রফিক,লিটন।
ব্যাটারীচালিত রিক্সাচালকরা অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরের অনশনস্থলে রাতভর শ্লোগান আর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রথম দিন শেষ করেন তারা।
আমরণ অনশনের ২য় দিনে সকাল থেকে চলছে ২ দফা দাবী আদায়ের জন্য সমাবেশ। এখানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমীক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি আঃ রাজ্জাক, বরিশাল ব্যাটারীচালিত রিক্সাচালক- মালিক সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ও বরিশাল সমাজতান্ত্রিকদল (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী, জেলা বাসদ আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবীব রুমন, জেলা ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি স্বম্পা দাশ,বরিশাল জেলা গণ সংহতি আন্দোলনের আহবায়ক দেওয়ান আঃ রসিদ নিলু,জেলা কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি আ.ক. ম মিজানুর রহমান সেলিম, মহসিন মীর, বরিশাল জেলা শ্রমীক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,জাহাঙ্গির হোসেন দিদার,মোজাম্মেল হক সাগর,নবীন আহমেদ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
রিক্সা শ্রমীকদের আমরণ অনশনে সঙহতি জানিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত অংশ গ্রহন করেন বরিশাল জেলা সিপিবি,কমিউনিস্ট পার্টি,গণ সংহতি আন্দোলন,নৌযান শ্রমীক ফেডারেশন মহ শ্রমীক ইউনিয়ন।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া নির্বিচারে ব্যাটারীচালিত রিক্সা উচ্ছেদ বন্ধ করা সহ অবিলম্ভে প্রশাসন কর্তৃক জব্দকৃত ২ কোটি টাকার অর্থমূল্যের ব্যাটারী ও মটর ফিরিয়ে দেয়ার ২ দফা আদায়ের দাবীতে বুধবার সকাল থেকে পূর্ব ঘোষিত অনুযায়ী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
এসময় বিভিন্ন বক্তারা বলেন অনশন কর্মসূচিতে কোন রিক্সাচালকের ক্ষতি হলে তার দায়ভার সিটি মেয়র ও পুলিশ কমিশনারের বহন করতে হবে। সেই সাথে তাদের বাঁচার ন্যায্য দাবী পুরন নাহলে জীবন দিয়ে হলেও তারা অনশন চালিয়ে যাবে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে রিক্সাচালকদের অনশনে অংশ নিয়েছে পরিবারের আয়ের উপার্জনকারী অন্যদিকে সংসারে অর্থ না থাকায় পরিবার-পরিজন সহ শিক্ষার্থী সন্তানেরা আছেন না খেয়ে। বরিশালে এখন ঘড়ে-বাহিরে দুদিকে চলছে অনশন।