মোস্তাকিন হোসেন,হিলি সংবাদদাতা :
প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে সাড়া ফেলেছেন গোলম মোস্তফা নামের এক কৃষক। কম খরচে অধিক লাভ ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন হওয়ায় আগ্রহ দেখাচ্ছে অন্যান্য কৃষকেরাও।
কৃষি বিভাগ বলছেন, পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ নতুন জাতের এ ফুলকপির আবাদ বাড়াতে সবধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে ব্যপক হারে এই বেগুনি রঙিন কপির আবাদ ছড়িয়ে দিতে মাঠ প্রদর্শণীসহ নানা ভাবে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২০ শতক জমিতে রঙিন প্রজাতির ফুলকপি ভ্যালেনটিনা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন উপজেলার কৃষক গোলাম মোস্তফা। এরপর থেকেই একজন কৃষি ইউনিয়ন ব্লক সুপার ভাইজারের সার্বক্ষণিক তত্বাবধানে তিনি এই রঙিন ফুলকপির চাষাবাদ করেন। নতুন জাতের এই দৃষ্টিনন্দন ফুলকপি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। নতুন জাতের এই ফুলকপি আবাদ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এ ফুলকপি বাজারজাত শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেকে আসছেন কিনতে। সেই সাথে এই ফুলকপিতে এন্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে থাকায় ক্যান্সার বিরোধী। তাই এ সবজির আবাদ বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সচেতনাতার পাশাপাশি দিয়ে যাচ্ছেন প্রণোদণা। আগামীতে একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে এই রঙিন ফুলকপি চাষাবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষে উপজেলা কৃষি অফিসা সবধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
রঙিন ফুলকপি চাষী গোলাম মোস্তফা বলেন,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্য বীজ সার দিয়েছে। ২০ শতক জমিতে প্রতি পিস ফুলকপি উৎপাদনে খরচে হয়েছে ১০ টাকা। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে।
হাকিমপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার অমিত রায় বলেন,এ উপজেলায় প্রদর্শণী খামারের মাধ্যমে প্রথম বারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করা হচ্ছে। রঙিন হওয়ায় বাজারে এর দামও যেমন রয়েছে। বাজারে এর চাহিদায়ও বেশি। এ উপজেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের উৎসাহীৎ করার লক্ষে উপজেলা প্রশাসন থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন,দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম বারের মতো হাকিমপুর উপজেলার খট্টামাধবপাড়া এলাকার বলরামপুর গ্রামে বেগুনি রঙিন ফুলকপির একটি প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে।এই ফুলকপিতে এন্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি বেশি পরিমাণে থাকায় ক্যান্সার বিরোধী। অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ, রঙিন বিদেশি সবজি,বাজারে এর চাহিদা বেশি। চাষাবাদে কম পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। এই ফুলকপির আবাদ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে। সাধারণ ভোক্তার নিটক পুষ্টি পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি সহজলভ্য হবে ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।