মোহাম্মদ ইউনুছ , পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের লালজান পাড়া ব্রিজ থেকে নোয়াখালী ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধটি ১৯৯২ সালে নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নির্মাণের পর থেকে আর সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে উচ্চ জোয়ারের ফলে বেড়িবাঁধের বিশ ফিট অংশ ভেঙে প্লাবিত হয়ে গেছে লালজান পাড়া ও রব্বতআলী পাড়া। দুর্ভোগে পড়ছেন এই দুই গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ। পানি ঢুকে ঘরবাড়ি, শাক সবজির ক্ষেত ও মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুম আসলে আমরা আতংকে থাকি। এবারও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়েছে ঘরবাড়িতে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছি আমরা প্রায় কয়েশ পরিবার। এই দূর্দশা থেকে বাঁচার জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রহমান বলেন, অতি বৃষ্টি ও পানির তীব্র স্রোতে লালজান পাড়া দিয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। তিনি বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশটি মেরামতের জন্য বলেছেন। মাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশটি মেরামত করা হচ্ছে।
রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকার ফলে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগোলোকে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশটি নয়। পুরো বেড়িবাঁধটি মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অরুপ চক্রবর্তী বলেন, রাজাখালীর লালজান পাড়ার বেড়িবাঁধটি উচ্চ জোয়ারের ফলে ভেঙেছে। টেক্স বার্তার মাধ্যমে উর্ধতন কর্মকর্তার অনুমতি পেলে জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধটি মেরামত করা হবে।