হুমায়ুন কবির পেকুয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া-উজানটিয়া সড়কটি পূর্ণিমার জোয়ারের পানির স্রোতে ফের বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
পেকুয়া কাটাফাঁড়ি ব্রিজ থেকে সোনালী বাজার পর্যন্ত সড়কের রুপাইখালের ধারিয়াখালীর দুই চেইনের মধ্যে তিনটি পয়েন্টে আবারও ফাটল ধরেছে।যে কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে এই অংশগুলো,যেকোন সময় বিলীন হয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে। ফলে তলিয়ে যেতে পারে ধারিয়াখালীসহ কয়েকটি গ্রাম এবং ভোগান্তি হতে পারে ৫০হাজার পথচারীর। গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়া এবং পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে পেকুয়া উপকূলীয় এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবোর) বেড়িবাঁধ গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে।দ্রুত সংস্কার না করলে এই সড়কটি যেকোনো সময় ফের বিচ্ছিন্ন হতে পারে দুই ইউনিয়ন থেকে।
স্থানীয় জয়নাল বলেন, পেকুয়া কাটাফাঁড়ি ব্রিজ থেকে উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কে প্রতিদিন দুই ইউনিয়নের প্রায় ৩০হাজার মানুষ চলাচল করে আসছে।গত কয়েকমাস আগে ঘূর্ণিঝড়ে এই সুইস গেইটি সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল,জেলা পরিষদের জরুরি বাজেটে সংস্কার করা হয়েছিল, এরপর উপজেলার বাজেট থেকে সংস্কার করা হয়েছিল কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়া এবং পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে বেড়িবাঁধ হয়ে পানি পার হচ্ছে। যেকোনো সময় সুইস গেইট বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
মগনামা ইউপির চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরী বলেন,সড়কটি দুইটি ইউনিয়নের যোগাযোগ মাধ্যম। দ্রুত সংস্কার না হলে যেকোন সময় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মানুষের দুর্ভোগ চরম পোহাতে হবে।
উজানটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, উজানটিয়া ও মগনামার এবং মাতার বাড়ির কিছু লোকজন এসড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। আমি নিজ অর্থে দুই-তিন বার সংস্কার করেছি আর পেকুয়া আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও সমন্বয় সভায় এসড়কের সংস্কারের কথা বলছি। পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি বহনকারী গাড়ির কারণে সড়কের ফাটল ধরেছে।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক জানান,দুই মাস আগে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সংস্কার করা হয়েছিল। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ফের দেবে গেছে। তবে দ্রুত সংস্কার করার জন্য ব্যবস্থা করব।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়ার প্রধান প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন, এই সুইস গেইট গুলো হলো পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) পরিচালনাধীন, ইউএনও স্যার পাউবো কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন। আমরা আপাতত পানি আটকানোর জন্য সড়কের দুপাশে প্রতিরোধকের ব্যবস্থা করেছি।