জাবেদুল আনোয়ারঃ
পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে আবারো দুঃসাহসীক অভিযান চালিয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা প্রমাণ করলেন তিনি যা বলেন তা করেন।
আলোচিত পাহাড় কর্তন করে আসছিলেন রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার বলি পাড়ায়। সেখানে যারাই গেছেন? প্রশাসনিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা,পুলিশ কিংবা সাংবাদিক সবাই পাহাড় খেকোদের রোষানলে পড়েন।পাহাড় খেকোরা হামলে পড়েন অবস্হা এতই বেগতিক হয়ে পড়েছিল রীতিমতো আতংকের জনপদে পরিনত হয়ে উঠেছে। ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল পাহাড় খেকোরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানান,দীর্ঘ দিনের পাহাড় কর্তনে প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে কিছুদিন পাহাড় কর্তনে ভাটা পড়েছিল।সম্প্রতি আবারো জ্যামিতিক হারে পাহাড় কেটে মাঠি বিক্রির মহোৎসব শুরু হয়।এনিয়ে স্হানীয় পরিবেশবাদী মহল কিংবা জনসাধারণ উদ্বেগ- উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করলে ও পাহাড়খেকো গড়ফাদার ও তাদের দোসরদের ভয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস পায়নি।এদিকে নির্বিচারে পাহাড় কর্তন করে মাটি বিক্রয় করার ফলে পরিবেশের মারাত্নক ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি মাটি কর্তনের ফলে পাহাড় গুলো ন্যাড়া পাহাড়ে পরিনত হয়।এমন নাজুক পরিস্হিতিতে ত্রাসের জনপদ দক্ষিণ মিঠাছড়ির বলি পাড়ায় অভিনব কৌশলে পাহাড় কর্তনের দৃশ্য সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন আলোচিত উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের একটি দল।২৪ অক্টোবর অপারেশন চালিয়ে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের সময় মাটি ভর্তি দু,টি ডাম্পার ফেলে চালক ও হেলপার সহ লোকজন পালিয়ে যায়।এ সময় মাটি ভর্তি ডাম্পার ২টির চাকা ছুরি দিয়ে কেটে গাড়িগুলো চলাচল অযোগ্য করা হয় এবং পাহাড় গুলোর কর্তনকৃত দৃশ্য সরেজমিন পরিদর্শন করেন।এ সময় আশপাশের শত শত মানুষ ইউএনও মহোদয়ের অভিযানে স্বস্তি প্রকাশ করে এবং ইউএনও প্রণয় চাকমা কে সাধুবাদ জানান।
এভাবে একের পর এক পাহাড় খেকো,বালু খেকো, যানজট নিরসন কল্পে অভিযানের ফলে অপরাধীরা আতংকিত হয়ে পড়েছে।সাধারণ জনগণ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে।এ ভাবে অপারেশন অব্যাহত থাকার ঘোষনা দেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা।