ঢাকাবুধবার , ২ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে স্বস্তি পরিবারের মাঝে

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

নোয়াখালী প্রতিনিধি

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক অতঃপর জিম্মিদশা মুক্তি পেয়েছে। এতে মুক্তি পাওয়া নাবিকদের পরিবারের স্বস্তি আসলেও তারা দেশের আসার আগ পর্যন্ত এখনো উৎকন্ঠা রয়ে গেছে।

মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর দুই নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু ও মোহাম্মদ ছালেহ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের মাঝে শংকা কেটে স্বস্তি এসেছে। এখন তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন কখন ফিরে আসবে তাদের সন্তান, ভাই ও স্বামী।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশী বাণিজ্যক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নাবিক রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। বাড়িতে নতুন ঘরের কাজও চলছে ঈদের পরে রাজুর বিয়েকে উপলক্ষ করে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় বদলে গেছে পরিবারের সকল চিত্র। ঈদের দুই দিন পর রাজু’র মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে। দীর্ঘ একমাস পরে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় মুক্তি পাওয়া পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন রাজু সহ সকল নাবিক দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে দেশে আসবে।

নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ।

অপরদিকে, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুই দিন পরে নাবিক ছালেহ’র মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে। এখন মেয়েদের নিয়ে স্বামীর ফিরে আসার প্রহন গুণছেন তানিয়া।

ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সকলের পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শংকা কেটে গিয়ে আনন্দ বিরাজ করছে সবার মাঝে। তবে এখনো নাবিক পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের নিয়ে উৎকন্ঠা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন আপন নীড়ে।

196 Views

আরও পড়ুন

চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধীর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি প্রদান

রামুর কচ্ছপিয়ায় কৃষি উপকরণ বীজ- সার নারিকেল চারা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন

চট্টগ্রাম অঞ্চল জামায়াতের লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে নেতৃবৃন্দরা

জুলাই : নতুন বাংলাদেশের অধরা স্বপ্ন !! খানিক মুক্তি জালিমের থাবা থেকে

ঐতিহাসিক বটতলার হামদ নাতের আসর শেষে শিক্ষার্থীরা পেলেন বই

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাশ

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী ধর্ষণের শিকার, এলাকায় উত্তেজনা

পটিয়ায় চাপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

চকরিয়া বমুবিলছড়িতে মৎস্যর সচেতনতা সভা ও ভিজিএফ বিতরণ

ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার হতে হবে – যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূইয়া

স্ক্যাবিস: এক নীরব মহামারী

দলীয় প্রধানরা লড়তে পারেন যেসব আসনে