ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফে নাফনদীতে বড়শিতে ধরা পড়েছে৩২ কেজি ওজনের দুটি কোরাল মাছ।বৃহস্পতিবার(০২জানুয়ারি)দুপুরে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট সংলগ্ন নাফনদীতে হাইর হোছেন নামে এক জেলের বড়শিতে মাছ দুটি ধরা পড়েছে।মাছ দুটির মধ্যে বড়টির ওজন ২০কেজি ও ছোটটি১২কেজি।মাছ দুটির দাম ৪৫ হাজার টাকা হাঁকা হলেও বিকালে সাবরাং বাজারের মাছ ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলমের কাছে৪০হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বড়শিতে ধরা জেলে হাইর হোছেন বলেন,প্রায় সাত বছর ধরে নাফ নদীতে নৌকা নিয়ে মাছ ধরা বন্ধ।তাই শাহ পরীর দ্বীপ জেটিতে বসে প্রতিদিনের মত আমরা কয়েকজন বড়শি ফেলি। ঘণ্টা খানেক পর আমার বড়শি টেনে তোলার চেষ্টা করি।কিন্তু বড়শিটি বেশ ভারি মনে হওয়ায় আরও একজনের সহযোগিতা চাই পরে বড়শি টেনে তুলে দেখি,একটি বড় কোরাল মাছ আটকা পড়েছে।সেটির ওজন ছিল২০কেজি।পরে তিনি একই জায়গায় পরপর তিন বার বড়শি ফেলে ব্যর্থ হন।তিনি আরো বলেন,২০মিনিট পর আমার বন্ধু মোকাদ্দেরে বরশিতে আরও একটি কোরাল মাছ ধরা পড়ে। লসেটির ওজন ছিল প্রায়১২ কেজির মত।
মাছ ক্রেতা ছৈয়দ আলম বলেন,বরফ দিয়ে ফ্রিজিং করে মাছ দুটি চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাটে পাঠানো হয়েছে।বেশি দামে বিক্রি হলে কিছু লাভ হবে।
শাহপরীর দ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটক গিয়াস উদ্দিন বলেন,ঘুরতে এসে নাফ নদীতে বড়শি দিয়ে সরাসরি মাছ ধরা উপভোগ করলাম।সাথে আমার বউ বাচ্চারা রয়েছে।ওরাও এই দৃশ্য দেখে খুবই খুশি।বড়শিতে ছোট-বড় অনেক মাছ ধরা পড়ে।নিজেকে আজ খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।এতবড় কোরাল মাছ খেতে না পারলেও সরাসরি মাছ ধরা উপভোগ করলাম।
টেকনাফ উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো:দেলোয়ার হোসেন বলেন,নাফনদীর কোরাল মাছ খুবই সুস্বাদু।কোরাল সাধারণত ৩০থেকে৩৫কেজি ওজনের হয়।কোনো কোনো সময় এর চেয়ে বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়।এর মধ্যে প্রজনন মৌসুমসহ সরকারি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় নাফ নদীতে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে।আজও দুইটি কোরাল পেয়েছে,মাছ দুটির ওজন ৩২কেজির মত।