স্টাফ রিপোর্টার ::
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) কে নবায়নযোগ্য জ্বালানি তে বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়ে সুনামগঞ্জে রিকশা র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর মিশরে অনুষ্ঠিতব্য এআইআইবি’র সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে উন্নয়ন সংস্থা হাউস, ক্লিন ও বিডব্লিউজিইডি’র আয়োজনে রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় রিকশা র্যালী সুনামগঞ্জ শহরের রিভার ভিউ থেকে শুরু হয়ে সারা শহর প্রদক্ষিন করে কাজীর পয়েন্টে শেষ হয়। র্যালী পূর্বে প্রারম্ভিক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হাউস এর নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরী শুভ, অনির্বাণ মহিলা সমিতির সভাপতি শিল্পী বেগম, সৃষ্টির নির্বাহী পরিচালক তৃস্না আক্তার রুশনা, শরীফ আহমদ, পরিতোষ বর্মণ প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) হল একটি বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক তথা বেইজিং ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রথম তিন বছরের মধ্যে যত অর্থ বিনিয়োগ করেছে তার মধ্যে ২০ শতাংশ বিনিয়োগই জীবাশ্ম (বিশেষ করে কয়লা এবং এলএনজি) জ্বালানি প্রকল্পে। দ্রুতগতিতে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য এই জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারই অন্যতম দায়ি । ২০২২ অব্দি ৫১০ মিলিয়ন ডলার শুধু মাত্র জ্বালানি খাতেই বিনিয়োগ করেছে। এরা শুধু বিনিয়োগ করে না, আমাদেরকে পারামর্শও দিয়ে থাকে। এই পরামর্শ আবার তাদের লাভের স্বার্থেই দেয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এসে বিদ্যুৎ খাতে দুটি প্রকল্পে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড-সাইকেল গ্যাস টারবাইন (CCGT) এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য ১৬৫ মিলিয়ন ঋণ অনুমোদন করে। এসবই জিবাশ্ব জ্বালানী কেন্দ্রিক বিনিয়োগ।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘এআইআইবি এর জ্বালানি খাতে (গ্যাস ও কয়লা) এই বিনিয়োগের ফলে আমাদের দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত নানা মুখি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। এআইআইবি-কে বাংলাদেশে সকল কয়লা এবং জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবহনসহ, ট্রান্সমিশন, ডিস্ট্রিবিউশন, বন্দর উন্নয়ন, হাইব্রিড প্ল্যান্ট এবং কার্বন ক্যাপচার, ইউটিলাইজেশন ও স্টোরেজ সমর্থক পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ বন্ধে আহব্বান করা উচিত। আমাদের দাবি, আর নয় জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি হোক সবার জন্য। গ্যাস-কয়লা-তেল ভিত্তিক জ্বালানীতে বিনিয়োগ না-করে, বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করো; দারিদ্রকরণের নীতি বর্জন করো, সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলো। AIIB’ তোমাদের বিনিয়োগ আমাদের জীবনকে ধ্বংস করছে, তোমাদের উপর তথা পরনির্ভরশীলতা বাড়িয়ে তুলছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তোমাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করো, কার্বন নির্গমন বন্ধে অর্থায়ন করো।’