এম এ মোতালিব ভুইয়া ::
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের আকিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন না থাকায় শ্রেণীকক্ষ সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।সুচারুরূপে পাঠদান করতে শ্রেণিকক্ষ সংকট লাঘবে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
জানাযায় সুবিধাবঞ্চিত দুর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের আকিলপুর গ্রামে আকিলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ১লা জানুয়ারী ২০০৩ ইং সালে প্রতিষ্ঠা হয়। বেসরকারি বিদ্যালয় হিসেবে স্কুলটি যাত্রা শুরু করলেও ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারী বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়।আকিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে রুপলাভ করে। ৩ কক্ষবিশিষ্ট টিনশেডের একমাত্র ঘর নিয়ে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল,তা আজও বিদ্যমান, তবে জরাজীর্ণ।প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিসহ এ বিদ্যালয়ের মোট শ্রেণি সংখ্যা-৬।সুতরাং একই শ্রেণিকক্ষে একাধিক শ্রেণির পাঠদান ছাড়া গত্যন্তর নেই।টিনসেটের ঘরে পার্টিশন তৈরি করে ছোট ছোট তিনটি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ছোট শ্রেণিকক্ষ গুলোতে শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। তাছাড়া পুরোনো টিনের চাল মেরামত না করলে বৃষ্টির দিনে পানিও গড়িয়ে পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা-২৯৬,শিক্ষকপদ -৪ কর্মরত -৪ জন।উল্লেখ্য প্রধান শিক্ষক মোজাফফর হোসেন সিএনএড প্রশিক্ষণে আছেন।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শারমিন আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ে ২৯৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ছোট একটি শ্রেণিকক্ষে সর্বোচ্চ ৩০জন বসার জায়গা করা যায় কোন মতে। শ্রেণিকক্ষ সংকটে শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় পাঠদানে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। বিভিন্ন সময়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের জন্য লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হানিফ মিয়া বলেন, ২০০৩ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে শ্রেণিকক্ষ সংকটে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে।কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ এবং শ্রেণিকার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য জরুরী ভিত্তিতে নতুন একটি ভবন নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
লক্ষীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল হক কাছে ভবন না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আকিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে শ্রেণিকক্ষ সংকটে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তৈরি টিনসেট ঘরটিতে এখনো শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।বাংলাদেশে আজও এমন জরাজীর্ণ দূর্বল অবকাঠামোর বিদ্যালয় ক’টি আছে সে পরিসংখ্যান কতৃপক্ষই ভাল জানেন।
পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ না থাকায় নিরুপায় হয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা সর্ম্পকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভবন করার জন্য সয়েল টেষ্ট করা হয়েছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে নতুন ভবণ নির্মাণ করা খুবই জরুরী।
দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন কুমার সানা বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সমস্যা রয়েছে সেগুলোতে নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি