এম এ মোতালিব ভুঁইয়া :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় পেঁয়াজের ঝাঁজ বেড়েই চলছে। পেঁয়াজের এমন ঝাঁজে ক্রেতারা এখন দিশেহারা। প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে।
দোয়ারাবাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে ক্রেতা সাধারণ হিমশিম খাচ্ছেন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়ছেন চরম বিপাকে। তাদের প্রতিদিন গড় আয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। তাদের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সংগতি নেই। চাল-ডাল তরি-তরকারি কেনার পর নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কেনা দুঃসাধ্য। পেঁয়াজের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় তারা অত্যন্ত ক্ষুব্দ।
এদিকে, গত দুইদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে দিনমজুর মানুষগুলো কাজে যেতে পারছেনা। যারা প্রতিদিন কাজ বের হলে, ঘরে খাবার আসে তারা পড়ছেন বড় বিপাকে। এরমধ্যে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিম্ম আয়ের মানুষগুলো। অনেকে দামের কারণে পেঁয়াজ ক্রয় না করে বাড়ি ফিরছেন।
ক্রেতারা বলছেন, সরকার তুরস্ক, মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানীর পরও কেন দাম কমছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারবেন না। গুটি কয়েক আমদানীকারক এবং আড়ৎদারেরা জোগসাজসে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে।
পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। কিন্তু বর্তমানে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০টাকা বেড়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা বাংলাবাজার, নরসিংপুর বাজার, বগুলাবাজার,মহব্বতপুর বাজার ও হকনগর বাজারের অধিকাংশ দোকানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এ সময় পেঁয়াজের দাম নিয়ে কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা চলতেও দেখা যায়।
দিনমজুর আবুল মিয়া বলেন, ৪/৫দিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৮০-৮৫ টাকা। আর এখন বলছে ১০০ টাকা।
উপজেলা বাংলাবাজারের নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, আমরা কী করবো। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯৮ টাকায় পাইকারি দামে কিনেছি। এখন ১১০ টাকায় বিক্রি করছি। তিনিও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ব্যবসা করতে আর ভালো লাগছে না।
উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা