এম এ মোতালিব ভুইয়া:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের পশ্চিমবাংলা বাজার থেকে রাবারড্যাম্প হয়ে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা বর্ষাকালে খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণের। আর এসব ব্যপারে নজর নেই জনপ্রতিনিধিদেরও অভিযোগ জনসাধারণের। দেখলে মনে হবে, এটি রাস্তা নয় ধানের চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করা হয়েছে। রাস্তাটির এমনই বেহাল দশা যে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলেরও কোন অবস্থা নেই। প্রতিনিয়তই চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, অসুস্থ রোগী, শিশু-বৃদ্ধসহ হাজার হাজার পথচারী পড়ছে সীমাহীন দুর্ভোগে। এতে করে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনসাধারণের চলাচলে জন্য গ্রামীণ এ রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাংলাবাজার থেকে রাবারড্যাম্প হয়ে উপজলো সদরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এ রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সংশ্লিষ্ট কেউই কার্যকরী উদ্যোগ নেয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় মারাত্মক কাদার সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এমনকি খালি পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম এলেই ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
স্হানীয়রা জানান, অবহেলিত কর্দমাক্ত রাস্তায় সামন্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা ও বড়-বড় গর্ত হয়। আর এ এসব গর্তে জমে থাকে বৃষ্টির পানি। তখন যানবাহন চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ২৭ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।
মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হেলাল-খছরু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নোয়াপাড়া গ্রামের হেলাল মিয়া বলেন, আমাদের এ এলাকা থেকে দেড়শ ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে ও মাদরাসায় যায়। বর্ষাকালে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে আমাদের কষ্ট হয়। অনেকসময় গায়ের জামা কাপড় কাদাপানিতে নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দিলে এলাকাবাসীসহ সবার উপকার হবে।
স্থানীয় সমাজসেবক আব্দুল কাদির বলেন,রাস্তাটি জনবহুল কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষায় চলাচল করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আমি চাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হেলাল-খছরু উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতি সম্মান রেখে, লক্ষীপুর ইউনিয়নের জনগণের কথা চিন্তা করে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সংবাদকর্মী আব্দুস ছালাম জানান, কর্দমাক্ত রাস্তার পাশেই আমার বাড়ি। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিদিনই ছোট-ছোট দূর্টঘনা ঘটছে। অতিদ্রুত এ রাস্তা সংস্করণ না করলে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দূর্ঘটনা।
রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, এমপি ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম বলেন,, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির জন্য রাস্তাটি মেরামত করা সম্ভব হচ্ছেনা। বৃষ্টি কমে গেলেই কর্দমাক্ত রাস্তাটি বালি ও পাথর দিয়ে মেরামত করে দেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফ মুর্শেদ মিশু বলেন, এই প্রথম শুনলাম এই কর্দমাক্ত রাস্তার কথা। খবর নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে।