স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার গনিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃতদবীর আলম ও সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃকামারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়, বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দিরাই -সুনামগঞ্জ মহাসড়কের গনিনগর বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃকামারুজ্জামান ঘোষ দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সাবেক সভাপতি ও পাথারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃআব্দুল হেকিম এর মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পান। তিনি বিগত সময়ে স্কুলের বিভিন্ন কাজের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের বিষয়টি বলেছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা মেনে নেননি। উল্টো ভয় দেখিয়েছেন তাদের। তারা মনে করছেন দুজন মিলেই বিদ্যালয়ের অনিয়মের জড়িত ছিলেন। তাই তারা দু’জনের পদত্যাগ দাবি করছেন।এদিকে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের কারণে দিরাই -সুনামগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ চার ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষকে কষ্ট না দিয়ে আন্দোলন করার অনুরোধ করেছেন পথচারী এবং সড়কে আটকে পড়া যাত্রীরা।
আশিকুর রহমান আশিক নামে আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন, আমি অফিসে যাব। কিন্তু এক ঘণ্টা ধরে এখানে আটকে আছি। শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই যেতে দিচ্ছে না। এভাবে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করার কোনো মানে হয় না। তাদের দাবি থাকতেই পারে, সেটা সড়ক অবরোধ না করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দিতে পারে। এদের কারণে আমরা সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। দীর্ঘ চার ঘন্টা পর শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসাবে শান্তিগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফজলে রাব্বানী চৌধুরী ও একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃনূরে আলম সিদ্দিকী এসে ছাত্র ছাত্রীদের বুঝিয়ে রাস্তায় যান চলাচলের সুযোগ করে দেন।পরে তাদের কে নিয়ে আলোচনায় বসেন। তাদের অভিযোগ গুলো লিখিত আকারে নোট করেন ফজলে রাব্বানী চৌধুরী শেষে মোঃনুরে আলম সিদ্দিকী ছাত্র -ছাত্রীদের কে বলেন তাদের দেওয়া অভিযোগ গুলো তদন্ত করে দেখা হবে এবং দোষীদের আইনের আওয়াতায় এনে বিচার করা হবে।ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কে ধৈর্য ধরে ক্লাস চালিয়ে যেতে হবে। ছাত্র -ছাত্রীরা যে সকল শিক্ষকদের উপর অভিযোগ এনেছে বিচার সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা বিদ্যালয়ে আসতে পারবেন না।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃতদবীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও বহিরাগতদের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা এসব করছে। এর আগেও তারা কিছু অযৌক্তিক দাবি জানিয়েছেন তা মেনে না নেয়ায় আজকে তারা এসব করছে। আমি দোষ করলে সেটা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে তদন্ত করে শিক্ষা অফিস ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন আমি এই স্কুলে সহকারী শিক্ষক ছিলাম। তারপর প্রধান শিক্ষক হয়েছি।