ছাতক প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতকে জুয়া মদপানকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে এক জন মুয়াজিন নিহত ও প্রায় তিন শতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে ৮টার দিকে উপজেলা গোবিন্দগঞ্জ (সাদা পুলের) মুখ সংলগś লাকেশ্বর -গোবিন্দগঞ্জ রাস্তায় এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুত আহতদের ২৫ জনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভতি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গোবিন্দগঞ্জ পুরাতন বাজার মসজিদের মুয়াজিন ইয়াকুব আলী নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।এ মুত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।গত বৃহম্পতিবার বিকালে ইয়াকুব আলীকে তার গ্রামের বাড়িতে জানায় নামাজ শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ইউপির মেম্বার দিদার আলম। সে উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামে মৃত খুশিদ আলী পুত্র ইয়াকুব আলী (৩০)। সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান গত বৃহম্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। এ শিবনগর ও দীঘলী গ্রামবাসির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ চলাকালে সুনামগঞ্জ-সিলেট-সড়কের (সাদা পুল)ś এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জেলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে দীর্ঘ যানজট ও জনমনে চরম আতংক বিরাজ করেছিল। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে থানা পুলিশ ১৪০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। সুনামগঞ্জ থেকে দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে টহল জোরদার অব্যাহত রেখেছে। এ খবর পেয়েই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোবিন্দগঞ্জ সাদা পুলের মুখ ও তাৎক্ষনিক এলাকায় বুধবার রাত ৮ থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযোগে পুলিশ চার জন আটক করে। তারা হলেন দিঘলী গ্রামের জিয়াউল হকের পুত্র শাহেদ মিয়া (২৭), শৈলেন ঘোষের পুত্র নির্মল ঘোষ (২১) সবুধ পালের পুত্র সজিব পাল (২০) ও সুভাষ পাল (২২) কে আটক করেছেন পুলিশ। এদিকে তার আপন ভাতিজা গীতিকার হিজরত আহমদ জানান,তার চাচা একটি মসজিদ মুয়াজিন ছিল। তিনি মাগরিব নামাজ শেষে বাড়িতে ফিরা পথে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে নিমর্মভাবে হত্যা করেছে । বৃম্পতিবার সকালে তার গ্রামে বাড়িতে গ্রামবাসির উদ্দ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়েছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে শিবনগর গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র সাজু মিয়া ও দিঘলী গ্রামের হারুন মিয়ার পুত্র ফয়সল আহমদের মধ্যে (সাদা পুল এলাকায় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতা-হাতির ঘটনায় সাজু মিয়া আহত হন।স্থানীয়রা সাজু মিয়াকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যান। এ ঘটনার জের ধরেই শিবনগর ও দিঘলী গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে চলাকালি সংঘর্ষে কয়েক রাউন্ড গুলি হলে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনার ব্যাপারে ছাতক থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি।তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে ।গত বুধবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ১৪০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরিস্থিত শান্ত রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল জোরদার রাখা হয়েছে।##