ঢাকাশুক্রবার , ১১ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. রাজনীতি
  3. সারা বাংলা

তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে শুধু কান্না করতাম আমার লাশটা যেন পরিবারের কাছে যায় : আঃ আমান আযমী

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:২০ অপরাহ্ণ

Link Copied!

সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী বলেছেন, ‘বারবার মনো হতো তারা হয়ত আমাকে ক্রস ফায়ার করে হত্যা করবে। আমি রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে শুধু কান্না করতাম আল্লাহ আমার লাশটা যেন কুকুরদের খাদ্যে পরিণত না হয়। আমার লাশটা যেন আমার পরিবারের কাছে যায়। সব সময় এ দোয়াটাই করতাম।’

আট বছর পর গত ৬ আগস্ট ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হন আবদুল্লাহিল আমান আযমী। এরপর আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদরদফতরে বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বদলা চেয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী।

তিনি বলেন, কোরআনে আছে খুনের বদলে খুন। আমি তদন্ত করে বিচারের আহ্বান জানাই। বিগত সরকারের আমলে যারা তদন্ত করেছে তারা যদি দায়সারা ভাবে করে…। দেশের সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। নতুন সরকার এই প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আযমী বলেন, ‌‘যখন আমার বাসায় তারা এলো, তখন তাদের কাছে আমি জানতে চেয়েছিলাম আপনারা কারা, পরিচয় কী, পরিচয়পত্র দেখান। তারা আমার কথার জবাব দেননি।

আমি বেশ কিছু প্রশ্ন করেছি, তারা কোনো কথার জবাব দেননি। এক অফিসার আমাকে তুই করে সম্বোধন করে। আমার সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে আমাকে গ্রেফতার করে গাড়িতে নিয়ে চোখ বেঁধে দেয়।’তিনি বলনে, ‌‘আমি ফিরে এসে জানতে পারলাম, আমার পরিবারের ওপর তারা কী পরিমাণ নির্যাতন চালিয়েছে! আমার স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে চেয়েছিল তারা! এক পর্যায়ে আমার স্ত্রীকে তুলে নিতে চাইলে স্ত্রী আমার মাকে সাথে নিতে বলে, তখন তারা তাকে নেয়নি। এ সময় আমার বাড়ির যুবতী কাজের মেয়ের ওপর হাত চালিয়েছে। বাসার ম্যানেজার ও দারোয়ানসহ সবার ওপর তারা হামলা চালায়।’

তিনি বলেন, ‘আমার চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় একটা জায়গায় নিয়ে গেল। তারা আমাকে পোশাক দিলো। রাতে আমাকে খাবার দেয়। কিন্তু খাওয়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না। টয়লেট যেতে চাইলে তারা আমার চোখ-হাত বেঁধে নিয়ে যেত। প্রায় ৫০ কদম হাঁটার পর টয়লেটে যেতাম।’

উল্লেখ্য, আট বছর পর গত ৬ আগস্ট আয়নাঘর থেকে মুক্ত হন সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহিল আমান আযমী। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মরহুম গোলাম আযমের মেজো ছেলে। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট দিবাগত রাতে আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে আটক করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দেয়া হয়।”

426 Views

আরও পড়ুন

এসএসসির ফলাফল বিপর্যয়: দায় কি শুধু শিক্ষার্থীদের?

শান্তিগঞ্জে উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের অর্থায়নে সেলাই মেশিন ও পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী বিতরণ

দাখিল পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান: তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গী শাখার সাফল্য ও হতাশা একসাথে

আজ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল

১৪ জুলাই পাবলিক হল ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিশাল জনসভা

ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী শহর শাখার নতুন দায়িত্বে যারা

টেকনাফে মিনি ড্রাম-ট্রাকে মিললো৫০হাজার ইয়াবা,আটক-২

মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা

গাজীপুরে বিএনপি নেতা সাথী বহিষ্কার ও গ্রেফতার সমীকরণে : নিরব ক্ষোভে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা

কাপাসিয়ায় খাল বিলে অভিযান চালিয়ে ২৫ টি ম্যাজিক চাই ও জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

মাদারীপুর জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার উদ্যোগে সাগরকন্যা কুয়াকাটা ভ্রমণ

কেরোয়ার একমাত্র রাস্তাটি আজ জনভোগান্তির প্রতীক