ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
শরৎ এসেছে মা আসছে,কাশফুলের শুভ্রতা শিশিরের স্নিগ্ধতা, শেফালীর মৌ-মৌ গন্ধের সমারোহ শুচিস্মিতা ধরনণীতে করুনা ময়ীমা দশভুজা -দূর্গতি নাশিনী মা দুর্গার আবাহন কল্পে ব্যাকুলভক্ত হৃদয়ের শ্রোদ্ধার্ঘ গ্রহন করে সন্তান বৎস মনুষ্য কুলকে ইহলৌকিক শান্তি সমৃদ্ধি ও পরলৌকিক মুক্তির অভয় বাণী দিতেই জগৎ মাতার এ আগমন। সচন্দন পুস্পার্ঘ দিয়ে মায়ের বন্দনার এই
মহাযজ্ঞানুষ্ঠানের দিন গুলিতে শ্রী-শ্রী দুর্গা মন্দিও গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে ভক্ত বৃন্দের আগমনে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মোট ২৭টি পুজো মন্ডপে দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ৮টি রুহিয়া উপশহরে। বাকি ১৯টি বিভিন্ন ইউনিয়নে শারদীয় দুর্গাপুজো উদযাপন উপলক্ষে আয়োজন চলছে। এদিকে সনাতন ধর্মাম্বলীদের সবচেয়ে বড়এই শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে এখন ব্যস্ততা বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের। থানার উপশহরের রুহিয়ায় ৮/১০জন, বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩২/৩৫জন প্রতিমা শিল্পী এসব মন্ডপে নিরলস ভাবে দিন-রাত প্রতিমা তৈরির কাজ করে চলেছেন । রুহিয়া থানার
২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউপি‘র রামনাথ হাট, সেনিহারি, পলাশ বাংলা মন্ডলাদাম,
দক্ষিন সেনিহারি, ১ নং ইউ,পি‘র উত্তরা বাজার, পূর্ব কুজিশহর কাকোলী সহ ২নং আখানগর ইউনিয়ন, ১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়ননের সব প্রতিমা শিল্পীরাই ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমা শিল্পী অবিনাশ ভাস্কর ২৬ বছর ধরে এ পেশায় জড়িত আছেন বলে জানান তিনি। এদিকে চুয়ামনি বাজার সার্বজনিন দুর্গা মন্ডপের প্রতিমা শিল্পী বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, তিনি ১৫ বছর বয়স থেকেই এ পেশায় জড়িত। কোন কোন সময় পঞ্চমীর রাতের আগেই তাদের প্রতিমার সব কাজ শেষ করতে হয়। বাংলা আষাঢ় মাসের ১৫ তারিখ থেকেই তারা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। দিনরাত এক করে তারা কাজ করে চলেছেন । প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা জানিয়েচেন,একটি প্রতিমা তৈরিতে শিল্পীরা ১০/১৫ হাজার টাকা পান। প্রতিমা
তৈরির উকরন কি কি লাগে জানতে চাইলে তারা জানান প্রতিমা তৈরির জন্য দরকার ৪/৫ ভ্যান মাটি। খড়লাগে ৬/৭ পৌন। এছাড়া কাঠ, বাঁশ, দড়ি, পেরেক, সুতা, ধানের তুষ, কয়েক প্রকারের রং। শিল্পীরা জানান, একটি প্রতিমা তৈরি করতে সময় লাগে ১৫/২০ দিন। প্রতিমা তৈরিতে কয়েকজন শিল্পী একসঙ্গে কাজ করেন।একেকজন শিল্পী প্রতিমার এক এক অংঙ্গে হাতদেন। সবাই সম্মিলিত কাজে পুর্ণতাপায়
এক একটি প্রতিমা। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের রুহিয়া থানার সহ সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন চলতি মাসের ০৩ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) থেকে ০৭ অক্টোবর (সোমবার) পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হবে। এ জন্য মন্ডপে মন্ডপে এখন প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে।
নিরাপত্তা বিষয়ে জানতে চাইলে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান, সব পুজো মন্ডপে বাড়তি নিরাপত্তা জোড়দার করা
হয়েছে। মন্ডপ গুলোতে, আনসার ও পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে থাকবেন
গোয়েন্দরা। যানবাহন চলাচল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, মন্ডপ এলাকায়
যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কেউ যে কোন প্রকার উশৃংখল,সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে না পারে সে জন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তত থাকবে।