ফরহাদ আমিন:
কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়া ইউপিস্থ লামার বাজার মেরিন ড্রাইভ রাস্তার পাশে সৈকত কাউন্টারের সামনে থেকে অপহরণ মামলার আসামি একটি অস্ত্র ও তিনটি কার্তুজসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,চকরিয়া থানার কোনাখালী ইউপি
আব্দুল হাকিম পাড়ার বাসিন্দা নুরুল কবিরের ছেলে আব্বাস উদ্দিন(৪২)ওএকই এলাকার আব্দুল হাকিম ভুট্টো ছেলে সাকিবুল ইসলাম(২২),সফি আলমের ছেলে ফরহাদ মিয়া(১৯),ডেমুশিয়া এলাকার মৃত ইউনুছ আহাম্মদের ছেলে মোঃ রবিউল হোসেন(২৭)ও সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ তাওসিফ(১৯)।
রোববার(২০জুলাই)দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বলেন,শনিবার(১৯জুলাই)রাত সাড়ে১১টার দিকে তারই নেতৃত্বে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের চৌকশ পুলিশ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস,এসআই হাসান মিয়া,এএসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন,এএসআই ইব্রাহিম খলিল সঙ্গীয় ফোর্স বাহারছড়া ইউপিস্থ লামার বাজার সাকিনে মেরিন ড্রাইভ রাস্তার উপর পুলিশ চেকপোস্টের অনুমান৫০০মিটার দূরে সৈকত কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে অপহরণ মামলার আসামি পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।এসময় তাদের অপর সহযোগী৪/৫ জন আসামি অন্ধকারে কৌশলে পালাইয়া যায়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণ মামলার ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করে।ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি বাহারছড়া উত্তর শীলখালী এলাকায় একটি বসত ঘরের সামনে লুকিয়ে রেখেছে মর্মে স্বীকারোক্তি দেয়।পরে উত্তর শীলখালী অপহরণ মামলার ২নং এজাহারনামীয় আসামি জলিলের বাবার বাড়ির বসত ঘরের সামনে ভিটার আঙ্গীনায় ছনের স্তুপের ভিতরে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থয় একটি দেশীয় তৈরী পাইপ গান ও তিনটি শটগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।তাদের বিরুদ্ধে ভিকটিম পাভেল চাকমা(২৪)বাদী হয়ে১৯জুলাই২৫ইংতারিখে যার টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৩৮/৪৬৮।এর আগে উপস্থিত থেকে ধৃত আসামীদের মুখমন্ডল ও শারীরিক গঠন দেখে তার অপহরণ মামলার ঘটনার সাথে আসামীরা জড়িত ছিলো মর্মে সনাক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন,গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।