ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি,
সুনামগঞ্জ জেলার শিল্পনগরী উপজেলা হচ্ছে ছাতক । এই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করেন এবং দেশের রেমিট্যান্স খাতে বিরাট অবদান রাখছেন। এ উপজেলায় বিত্তবানদের আধিক্য বেশি। আর এ উপজেলায় নির্বাচন ৫
জন চেয়ারম্যান প্রাথীদের মধ্যে ৪ জন প্রবাসী মানে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর।
ছাতক আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । যেখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন আওয়ামী লীগ নেতা। এদের মধ্যে ছাতক উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু গ্যাস ও ব্যাংক লোন প্রায় কয়েক কোটি কোটি টাকা থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন বাচাই কমিটি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক।
গত ১২ মে বোববার আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক বতমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে । তার পক্ষে আওয়ামীলীগ নেতাকমীরা কেউ প্রচার প্রচারনায় না করায় ক্ষোব্ধ হয়ে মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এদের মধ্যে ৪ নেতাই প্রবাসী হলেন গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্টাতা
সাবেক ভিপি যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা, কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন ,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী, ভাইন্স চেয়ারম্যান আবু সাফাত মো,লাহিন।
গত সোমবার সকাল থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রতীক বরাদ্ধে পর ছাতকে বিভিন্ন স্থানে আনারস মাকা প্রতীকের পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ মূহুর্তের প্রচারণা পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছেন ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রাথীরা। তারা ঝর বৃষ্টি উপেক্ষা করে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন এবং পৌর ভোটারদের নিকট বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে ৫ জনের মধ্যে ভোটের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন প্রবাসী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা। তার পক্ষে সাধারন ভোটারদের সমর্থন রয়েছে।
কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী।
বিগত ২০২০ সালের করোনা এবং বিগত ২০২২ ও ২৩ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় তারা উপজেলা জুড়ে অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন আওলাদ আলী রেজা।
বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ফজলুর রহমান।
২০২২ সালে ভয়াবহ বন্যায় তার কোন ভুমিকা নেই বলে একাধিক ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন।
তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দায়িত্ব পালন করে তিনি জনগণের মন জয় করতে পারেনি। নিবাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার আমলে উন্নয়নের নামে ব্যাপক প্রকল্প লুটপাট হয়েছে। কাজ না করে প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এবার পূর্ণ ৫ বছরের জন্য আবারো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। অবশেষে এ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় তার সাথে কেউ না থাকার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল দুই যুগ ধরে চলছে। পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও মুহিবুর রহমান মানিক এমপি গ্রুপ নামে দুটি গ্রুপ রয়েছে ছাতকে। এ দুটি গ্রুপের বেশী ভাগ নেতা কমীরা রয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা্র পক্ষে
প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তারা হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওলিউর রহমান চৌধুরী বকুল,ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান,আওয়ামীলীগ নেতা গৌছ মিয়া,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নিজাম উদ্দিন,ধন মিয়া মালদার,সহ যুবলীগ ছাত্রলীগ সেচ্চাসেবক লীগ,শ্রমিকলীগের নেতাকমীরা । এছাড়াই গোবিন্দগঞ্ছ সৈদেরগাও ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলীর তার পুত্র কিরনের পক্ষে
সমর্থকদের বড় একটি অংশ তার সাথে রয়েছেন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী ভোটার মাঠে নবাগত। নবাগত হলেও তার সাথেও উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের একটি অংশ সাথে রয়েছেন।
তবে বিএনপি, জামাত, জাতীয় পার্টি বা ইসলামি সংগঠনের কোনো প্রার্থী না থাকায় এইসব দল সমর্থকদের ভোট বড় ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছে এই উপজেলায়।তবে সাধারন ভোটারদের মধ্যে এখনো নির্বাচন নিয়ে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, সব মিলিয়ে ভোটারদের নির্বাচনমুখি করতে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান ও ভাইন্সচেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-এর ২০১১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ছাতক উপজেলার জনসংখ্যা: পুরুষ ১লাখ৯৭ হাজার,৯শত ৫২ এবং মহিলাএক লাখ ৯৯ হাজার ৬শত ৯০জন, মোট ৩,৯৭,৬৪২ জন,মৌজাঃ ৩১০টি
গ্রামের সংখ্যা: ৫৪৭টি গ্রাম নিয়ে ছাতক উপজেলা গঠিত হয়। অনলাইনে দেখাচ্ছেন ভোটার সংখ্যা পুরুষ এক লাখ ৬০হাজার ৪৪জন,এবং মহিলা একলাখ ৫১হাজার ৯শত ৩জন মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১হাজার ৯শত৫৭ জন। উপজেলা নিবাচন অফিস সুত্রে জানায়,কেন্দ্র সংখ্যা ১০৩ বুথ সংখ্যা ৬শত ৭১। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৯হাজার ১শত ৩৪জন ও মহিলার সংখ্যা এক লাখ ৫১হাজার ৯শত ৪২জন।