ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ জুনe ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

ছাতকে লাল সবুজের রঙে রঙ্গিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৭ অক্টোবর ২০১৯, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ

Link Copied!

অলিউর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার ছাতকঃ

ছাতকে লাল সবুজে রঙে রাঙিয়েছে বেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯১ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর এ রঙে প্রথম রাঙিয়েছে বিদ্যালয়টি। পাঠ্য বইয়ের আদলে রাঙানো বিদ্যালয়টি একনজর দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-অভিভাবক এবং আশপাশের উৎসুক জনতা ক’দিন ধরে ভিড় করছেন। বিদ্যালয়টি উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বেরাজপুর গ্রামে অবস্থিত। প্রায় ৭শতাধিক ভোটারের গ্রাম বেরাজপুর এ বিদ্যালয়য়ে রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক। ২শ’৬০জন ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করছে এ বিদ্যালয়ে।
গেল ২১ সেপ্টেম্বর লাল সবুজের রঙে রাঙানো এ বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসেন উপজেলা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবীব ও সহকারি শিক্ষা অফিসার মাসুম মিয়া সোহাগ। তারা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন শেষে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এদিকে গেল ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে শিক্ষক সমিতি ভবনে গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের বেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে ইউনিয়নের একমাত্র মডেল বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত বিদ্যালয়কে একটি করে মডেল বিদ্যালয় ঘোষিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পাঠ বইয়ের আদলে বর্ণ দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। উপজেলা ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর মোস্তফা আহসান হাবীব ও সহকারি শিক্ষা অফিসার মাসুম মিয়া সোহাগ এর পরামর্শেক্রমে বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার সাজানো হয়। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দেলোয়ার হোসেন সবুজ (সবুজ আর্ট) তার জ্ঞানের ভান্ডার ঢেলে নিজের বিদ্যালয়টি লাল সবুজে এভাবে রঙে রাঙিয়েছেন। বিদ্যালয়টি এমন রঙে সাজাতে একমাস ১০দিন তার সময় লেগেছে। এটি সাজাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মানিক মিয়া ও পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ৬০হাজার এবং সরকারি বরাদ্দের ৯০হাজার টাকাসহ মোট দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। এদিকে, বেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাল সবুজে রাঙানো দেখে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এখন পাঠ্যবইয়ের আদলে রাঙানোর উদ্যোগ গ্রহণ করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে বেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মানিক মিয়ার সাথে আলাপ করে জানা যায়, ২ সেপ্টেম্বর ২০০০ইং সালের তিনি এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এটি ছিল তার শিক্ষকতার প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যোগদানের পর থেকে সরকারের পাশাপাশি তিনি গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়ে বিদ্যালয়টি এ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। ২০১০ সালে তিনি উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন। গেল দশ বছরে বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরিক্ষায় শতভাগ ফলাফল অর্জন করে আসছে। সমাপনী পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে তাঁর এ বিদ্যালয়ে পরিক্ষার্থীরা ট্যালেন্টপুল ও সাধারণবৃত্তি এবং জিপিএ-ফাইভসহ খেলাধুলায় অসংখ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৭ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে রানারআপ নির্বাচিত হয়। এসব অর্জনের পরও বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা অত্যন্ত নাজুক। নদী ভাঙনে রাস্তা বিলীন হওয়ার পথে। এতে ঝুঁনি নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রত্যেহ যাতায়াত করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নীচু, নেই মাটি ভরাট, ওয়াশব্লকও নেই, সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ে নেই নলকূপ বা বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা। একটি ছিল, এটি প্রায় পাঁচ বছর আগে অকেজু হয়ে পড়েছে। যে কারণে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকার বিভিন্ন বাড়ি-ঘর থেকে পানি সংগ্রহ করে পান করতে হচ্ছে। এতে শিশুদের পাঠ দানে মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছে।

213 Views

আরও পড়ুন

নাফনদীতে জেলের ছদ্মবেশে মাদক পাচারকালে১লাখ২০হাজার ইয়াবাসহ দুই মিয়ানমার নাগরিক আটক

সন্ধান মিলছে না মাদ্রাসা শিক্ষার্থী লাবিবের

বরকলে বাহাদুর খাঁন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইছালে ছাওয়াব মাহফিল

মৌলভীবাজার জামায়াতের সাবেক আমীরের ইন্তিকালে ডা. শফিকুর রহমানের শোকবার্তা

জার্মানিতে বেড়েছে ইসলামবিদ্বেষ

বাংলাদেশ স্কাউটস চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক সমাজ উন্নয়ন ওয়ার্কশপ সম্পন্ন

নিজেস্ব অর্থায়নে জবি ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ারের পানির ফিল্টার স্থাপন

স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায় জামায়াত

প্রতিরোধের ক্ষমতা ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের

মহানবী (সা.) এর জীবদ্দশায় যে পরাশক্তির সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল (পারস্য) ‘ইরান’

এইচএসসি পরীক্ষার চূড়ান্ত প্রস্তুতি ২০২৫ : ইতিহাস ১ম পত্র

পলাশে গলা কেটে হত্যা ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৩