ঢাকামঙ্গলবার , ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া বাবার জমজ তিন সন্তান মেডিকেলে চান্স পেয়েছে

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

—–
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রামের তিন জমজ ভাই মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এদের মধ্যে এক ভাই গত বছর, অপর দুই ভাই এবার চান্স পান। অথচ একটা সময় তাদের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভালো চিকিৎসার অভাবে মারা যান।

তারা ধুনট নবির উদ্দিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও পরে বগুড়া সরকারি কলেজ শাহ সুলতান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন।

তিন জমজ ভাইয়ের মধ্যে মাফিউল হাসান ২০২৩ সালে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে এবং এবার সাফিউল হাসান দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে, রাফিউল হাসান নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি তিন জমজ ভাইয়ের মধ্যে গতবার একজন এবং এবার দুজন মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। ওদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।

তাদের মা আর্জিনা বেগম বলেন, ২০০৯ সালে ওদের বাবা গোলাম মোস্তফা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তখন ওদের বয়স ৫ মাস। বাবার স্নেহ মমতা কিছুই পাইনি ওরা। একপর্যায়ে তিন সন্তানকে পড়ালেখা করানো নিয়ে অনেক বিপাকে পড়ি।

তিনি বলেন, নিজে কষ্ট করে জমি বিক্রি করে
ওদের পড়ালেখা করিয়েছি। প্রায় ৫ বিঘা জমি ছিল। বাবার বাড়ির জমিও বিক্রি করে ওদের পিছে লাগিয়েছি। বাকি যা আছে তাও প্রয়োজনে বিক্রি করব। তবুও ওদের ডাক্তার বানাব। যাতে আমাদের মতো গরিব মানুষদের সেবা করতে পারে। আমি কত খুশি হয়েছি প্রকাশ করতে পারব না। গ্রামের লোকজন ওদের যখন দেখতে আসে তখন বুক ভরে যায়।

গত শিক্ষাবর্ষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া মাফিউল হাসান বলেন, ‘আমরা তিন জমজ ভাই বগুড়ায় মেসে একই সঙ্গে থেকে সরকারি শাহ সুলতান কলেজে পড়েছি। মা, কষ্ট করে এবং জমি বিক্রি করে পড়ালেখা করিয়েছেন। কখনোই আমাদের কষ্ট করতে দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বথুয়াবাড়ি গ্রামের মধ্যে আমরাই প্রথম মেডিকেলে চান্স পেয়েছি। এর আগে আর কেউ সুযোগ পায়নি। খুবই ভালো লাগছে আমরা তিন ভাই ডাক্তার হব।’

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়া শাফিউল বলেন, আজ বাবা থাকলে কত খুশি হতো। বাবাকে হারিয়েছি শিশুকালে। এখন মা আমাদের বাবার অভাব পূরণ করেছেন। মানুষের সেবা করার জন্য যাতে চিকিৎসক হতে পারি সবার কাছে এ দোয়া চাই।

নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া রাফিউল ইসলাম জানান, অসুস্থ অবস্থায় বাবা মারা যায়। যখন বিষয়টি জানতে পারলাম তখন থেকেই তিন ভাই ডাক্তারি পড়ার প্রতিজ্ঞা করি। গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করব। বাবার মতো যেন কাউকে অকালে ঝরে পড়তে না হয়।

975 Views

আরও পড়ুন

মানবতার উন্মেষ ফাউন্ডেশনের “শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি-২০২৫” সম্পন্ন

কক্সবাজারে মিনি ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠিত

সুনামগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন, সভাপতি আব্দুল হক -সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল

সুনামগঞ্জে গ্রাম ভিত্তিক ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

জয়কলস রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনে মদনপুর পয়েন্টে মতবিনিময় সভা

সেন্টমার্টিনে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার

সরকার পতনের দীর্ঘদিন পরেও পরিবর্তন হয়নি বুটেক্সের শেখ হাসিনা হলের নাম

প্রতিহিংসা নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা হোক

অনুপমা আজিজের কবিতা “পীড়ন”

সুনামগঞ্জে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আয়োজনে সংলাপ অনুষ্ঠিত

দৈনিক সংগ্রাম এর শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি মনোনীত হলেন মান্নার মিয়া

ইসলামী শ্রমনীতিই নির্যাতিত বঞ্চিত শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবে–নুর আহমেদ আনোয়ারী