মির্জা নাদিম, ঢাকা :
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বেশিরভাগ বাসগুলোর সর্বশেষ গন্তব্যস্থল ঢাকা, আব্দুল্লাহপুর। কিন্তু প্রতিনিয়তই দেখা যায়, এই বাসগুলো আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত না গিয়ে সায়েদাবাদ বা আরামবাগে নামিয়ে দেয় আব্দুল্লাহপুরের সকল যাত্রীকে। এসব অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম-ঢাকা রোড়ে চলমান প্রায় পরিবহনের প্রতি।।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ ৩১ আগস্ট ইম্পেরিয়াল বাসের ঘটে যাওয়া দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সহ শিক্ষার্থীদের ১০ জনের একটা টিম। দেখা যায় বাসটির শেষ গন্তব্যের কথা ছিল আব্দুল্লাহপুর। তারা আব্দুল্লাহপুর না গিয়ে সায়েদাবাদ নামিয়ে দেয়।
বাস্তব এই ঘটনার শিকার হন একজন প্রেগন্যান্ট মহিলাও।
প্রত্যক্ষ দর্শীর ভাষ্যমতে, প্রায়শই এই বাসটিতে আব্দুল্লাহপুরের টিকিট কাটি আমি। কিন্তু, আব্দুল্লাহপুর না নিয়ে আমাকে সায়েদাবাদ নামিয়ে দেয়। ২০২১ সালে প্রেগন্যান্ট একজন মহিলাকে মাঝপথে নামিয়ে দেয়। এবং আমি নিজে পরে উনাকে অন্য গাড়িতে উঠিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করি।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ ৩১শে আগষ্টও একই ধরনের কাজ করে আজকের এই ইম্পেরিয়াল সার্ভিসের বাসটি। চট্টগ্রাম থেকে আব্দুল্লাহপুরের টিকিট কাটে ১০ জন ছাত্র। সাথে আরও ৭ জন ব্যক্তিরও টিকিট কাটা ছিল আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ৬টায় ১৭ জন যাত্রীকে সায়েদাবাদ নামিয়ে দিতে চায় বাসটি। পরবর্তীতে ছাত্রদের চাপের মুখে হাউজবিল্ডিং পর্যন্ত নিয়ে আসতে বাধ্য হয়।
এই প্রেক্ষিতে ছাত্ররা বাস কোম্পানিগুলোর এই সিন্ডিকেটের প্রতিবাদ জানায় এবং এই সিণ্ডিকেট ভাঙার দাবি তোলে। ছাত্রদের সাথে অন্যান্য যাত্রীরাও সংহতি জানিয়েছে এবং তারাও স্বয়ং ভুক্তভোগী বলে অভিযোগ করেন।
পরে বাসটিকে উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ের সামন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ আটকে রাখে।
বাস কোম্পানিগুলোর এই সিন্ডিকেট ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত এবং বাস মালিকদের সরাসরি উপস্থিতি ও পরবর্তীতে এহেন কার্যক্রম না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত এখানে অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন তারা।