মোঃ আরফাত হোসেন(আরেফিন)টেরীবাজার,চট্টগ্রাম:
টেরীবাজার দোকান কর্মচারীদের এক দফা এক দাবী আগামি ‘৯ই নভেম্বর বন্ধ চাই’ দাবী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন টেরীবাজারের সাধারণ কর্মচারীরা॥ গতকাল ৪ই নভেম্বর সোমবার রাত ১০ টায় টেরীবাজার মেইন রোড়ে ৯ নভেম্বর দোকান বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শণ পূর্বক মিছিল বের করেন। এক দফা এক দাবী, ৯ই নভেম্বর শনিবার বন্ধ চাই স্লোগানে মিছিলটি পুরো টেরীবাজার এলাকা প্রদক্ষিন করে সাড়ে ১০টায় সমাপ্ত হয়। আন্দোলনরত কর্মচারীরা জানান, দাবী আমাদের একটাই, আমাদের দাবী মানতে হবে। আগামী শনিবার ০৯ নভেম্বর সকল দোকান বন্ধ চাই। আমরা আজকে বন্ধের প্রথম দফা আন্দোলন শেষ করেছি, আগামীকাল ৫ই নভেম্বর মঙ্গলবার টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২টার মধ্যে আমাদের বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা না হলে আমরা আবারও ২:৩০ মিনিটে আন্দোলনে নামবো। আমরা টেরীবাজারের সকল কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের যৌক্তিক দাবী সফল করবো ইনশাআল্লাহ্। আমরা বেআইনীভাবে বন্ধ চাচ্ছি না, বন্ধের বদলে বন্ধ চাচ্ছি ।
বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর ও ৪ অক্টোবর ১৯ইং শুক্রবার ২ সপ্তাহ শারদীয়া দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্তক্রমে দোকান খোলা রাখেন এবং টেরীবাজার সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ঐ ২দিন ছুটি সাধারণ কর্মচারীরা ভোগ করতে না পারায় ঐ ২ সপ্তাহের বিনিময়ে আগামি ৯ নভেম্বর শনিবার ১দিন বন্ধটা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) এর বন্ধের সাথে যোগ করে ৯ নভেম্বর শনিবার বন্ধ ঘোষণা করার দাবী জানাই। ৯ই নভেম্বর বন্ধ হলে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) ও সাপ্তাহিকী ছুটি শুক্রবার সহ শনিবার, রবিবার ৩দিন বন্ধ হবে।
টেরীবাজার কর্মচারীদের এক প্রতিনিধি জানান ,আমরা ৩ই নভেম্বর রবিবার টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি বরাবর আগামী ৯ই নভেম্বর শনিবার টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির আওতাধীন সকল দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার জন্য স্বারকলিপি প্রদান করেছি।
কিন্তু তারা আমাদেরকে বলেন যে,
টেরিবাজারে যেহেতু শনিবার একদিন ব্যবসা হয় আমরা সাধারন ব্যাবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্তটা এখন জানাতে পারতেছিনা।
তবে, ৫ই নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমদেরকে জানাবে বলে জানিয়েছেন।
সুতারাং,ব্যাবসায়ী সমিতির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা একমত হয়ে চলে আসছি, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে কালকে আবার সমিতির সাথে যোগাযোগ করব।
আশা করি টেরিবাজার ব্যবাসায়ী সমিতি আমাদের যৌক্তিক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত হয়ে বন্ধ ঘোষণা করবে ইনশাআল্লাহ।