নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চকরিয়া জোনাল অফিসের কাকারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উত্তর পাহাড়তলী এলাকায় বেসরকারি এতিমখানা “হযরত ফাতেমা (রাঃ) মাদ্রাসার কথা। এতিমখানাটিতে ৫ বছর যাবত বিদ্যুৎ নেই, প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা বিদ্যুৎ ছাড়া করছেন পাঠদান।
মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক মাওলানা মনসুর আলম আক্ষেপ করে বলেন, ১৫-১৬ দিন হয়ে গেল মাদ্রাসার পক্ষ থেকে মিটারের জন্য আবেদন করেছি কিন্ত এখনো কোন খবর নেই। অফিসে কয়েকবার ঘুরাঘুরি করেও কোর প্রতিকার নেই।
তিনি আরো জানান, এতিমখানার আশপাশে বিদ্যুৎ থাকলেও এতিমখানাসহ কয়েকটি পরিবারে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যায় আছি। এতিমখানার পাশে স্থাপিত খুঁটিটি রিজার্ভের জমির কথা বলে তার বিহীন অবস্থায় রেখে সটকে পড়ছে পল্লী বিদ্যুতের সাব কন্ট্রাকটার। চলমান রমজান ও তীব্র গরমে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প কন্টাক্টর আবু নছর বলেন, আমি প্রকল্প পেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু বনবিভাগ কাজে বাঁধা দেওয়ার কারণে কাজ বিদ্যুৎ সমিতির কাছে ফেরত দিয়েছি।
এই ব্যপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চকরিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম সাদিকুল ইসলামের কাছে বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সামাজিক বনায়নে মিটার সংযোগ দেয়ার নিয়ম নেই। তবে খতিয়ানভুক্ত বাড়ি কিংবা স্থাপনায় মিটার সংযোগে বন বিভাগের বাঁধা নেই।