নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখ মজিদিয়া মাদরাসা পাড়া এলাকায় চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ট ইমামের সম্মাননা প্রাপ্ত ইমাম মাওলানা জসিম উদ্দিনের বসতবাড়ির সীমানার জমি জবর দখল করে বহুতল পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী লোকজনের বিরুদ্ধে। এমনকি সীমানো লাগানো প্রায় ৩০ বছর বয়সী বড় আকারের একটি কাতাল গাছ সীমার মাটি খুঁড়ার কারণে ও গাছের শিখর কেটে দেয়ায় গাছটি উপড়ে গিয়ে বাড়ির বারান্ডার পড়ে ঘর ভেঙ্গে গেছে। তবে, বড় ধরণের প্রাণহানী থেকে রক্ষা পেয়েছে মাওলানা জসিম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা। ২৩ ফেব্রুয়ারী ভোর সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে ইতিপূর্বে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র বরাবরে জমি মালিক মরহুম এয়াকুব মিয়ার পুত্র মৌলানা জসিম উদ্দিনসহ অপরাপর জমি মালিক ভাই-বোনরা একটি অভিযোগ (পৌর মামলা নং ১৪১/২৩) দায়ের করেন।
এতে বিবাদী করা হয় একই এলাকার মৃত ওবাইদুল হাকিমের পুত্র আহমদ মিয়া গংকে।
অভিযোগে দলিল মূলে জমি পরিমাপ করে যার যার দখল বুঝিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়।
পৌর মেয়র অভিযোগ আমলে নিয়ে স্থানীয় পৌর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিনকে দায়িত্ব দেন। কাউন্সিলর সরে জমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুজে পান।
অভিযোগে জানাগেছে, চকরিয়া পৌরসভার নিজপানখালী মৌজার বি,এস ৪১ দাগে ১.১১একর জমির যৌথ দলিলে খরিদমুলে মালিক বাদী পক্ষের পিতা এয়াকুব মিয়া ও বিবাদীগণের পিতা ওবাইদুল হাকিম। সে অনুযায়ী ৮ আনা অংশে এয়াকুব মিয়া ৫৫.৫০ শতক জমির মালিক হন। যৌথ মালিকানার জমি হওয়ার কারণে যার যার প্রাপ্ত অংশ সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করে অংশ বুঝিয়া নেওয়ার জন্য বিবাদী পক্ষকে স্থানীয় কাউন্সিলর মারফত ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে একাধিকবার বলা হলেও বিবাদী পক্ষ সময় ক্ষেপন করেন। বিবাদী পক্ষ প্রাপ্ত অংশের তুলনায় অতিরিক্ত জমি দখল ও বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রয় করে দিয়েছেন। এরপরও বাদী পক্ষের ভোগ দখলীয় সীমানা ঠেলে পৌরসভার যথাযথ অনুমতি না নিয়ে বহুতল বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ে পিলারে ঢালাই দেন। তাতে বাধা দিলেও সঙ্গবদ্ধ হয়ে জোর পূর্বক নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখে এবং প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি প্রদান করে।###