তানজীল ইসলাম শুভ, বরিশাল।
গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ -সরিকল সড়কের একমাত্র কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় প্রতিনিয়ত চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে কয়েকটি গ্রামের মানুষসহ হাজার হাজার পথচারী। গত ১ বছর ধরে কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ে থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ওই কালভার্টের উপর দিয়ে ভ্যান, টলি, ভটভটি, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও যেকোনো মুহূর্তে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও কৃষকের উৎপাদিত ফসল আনা নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ-সরিকল রাস্তায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই রাস্তার মাঝখানে অবস্থিত কালভার্টটির দুইপাশেই ঢালাই ধসে রড় বের হয়ে আছে। ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে বিভিন্ন ধরনের শতশত গাড়ি। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকলেও যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল গনি বলেন, কিছুদিন আগে ভাঙা ওই কালভার্টে মোটরসাইকেল ও অটোভ্যান পরে গিয়ে দুইজন ব্যক্তি মোটামুটি ভাবে আহত হয়। উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়েই আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বহন করতে হয়। দ্রুত এর সমাধান না করলে আরো বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
হোসনাবাদ গ্রামের মকবুল প্যাদা বলেন, ১ বছরের অধিক এ কালভার্টটি একপাশে ধসে আছে। কিছুদিন হলো দুপাশই ধসে পড়েছে। দেখার যেন কেউ নেই। আমিসহ হাজার হাজার মানুষকে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় মনেই থাকেনা কালভার্টটি ধসে গেছে। কালভার্টি যেন এখন একটি মৃত্যু ফাঁদ। চলাচলে খুব ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয়।
ইজিবাইক চালক অনুতোষ দাস , অটো ভ্যান চালক, বায়জিদ, ট্রলি চালক বলেন, কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় চলাচল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বর্তমানে এটি নাজুক অবস্থায় থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেই গাড়ি চালকদের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা কালভার্টের উপর দিয়ে যানবাহনে যাতায়াত করছে। অনেক দিন ধরে ভাঙা থাকায় কালভার্টের ধসে যাওয়া অংশটি ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে, দিন দিন ঝুঁকি আরো বাড়ছে । ভাঙা কালভার্টে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকলেও ওই গর্তে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এগুলো দেখেও যেন না দেখার ভান ধরে বসে থাকে। আমাদের কষ্ট দেখার মতো মানুষ এদেশে নাই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০