আব্দুল মুনতাকিন জুয়েল
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুলিশ লাইন বোর্ড বাজারের মেসার্স রফিকুল ট্রেডার্স এর সত্তাধিকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে শাহ্ সিমেন্ট, আমান সিমেন্ট, ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানি সিমেন্ট এবং রড পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করে আসছে।
রফিকুল ইসলাম গোপনে গোডাউনে মজুদকৃত সিমেন্ট প্রতিটি সিমেন্টের বস্তা থেকে ৫ থেকে ৭ কেজি সিমেন্ট বের করে নিয়ে পুনরায় সেলাই করে, গোডাউন থেকে দোকানে নিয়ে এসে বিভিন্ন কেতার কাছে বিক্রয় করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ আসলে গত মঙ্গলবার মেসার্স রফিকুল ট্রেডার্স থেকে শ্রী জগতবন্ধু তার বাড়ীর কাজের জন্য দশ বস্তা শাহ সিমেন্ট ক্রায় করেন। বাসায় নিয়ে যায় পর রাজমিস্ত্রী অনুকুল কাজ চলা কালে অলুমান করতে পারেন যে সিমেন্ট পরিমাণ কম আছে। তারা পরিমাপ করে নিশ্চিত হয় প্রতিটি বস্তায় ৫ থেকে ৭ কেজি ওজনে কম। অভিযোগ কারী শ্রী জগত বন্ধু ও এলাকাবাসী তার দোকানে গিয়ে সেখানে থাকা সমস্ত সিমেন্টের বস্তা ওজন করে দেখলে প্রমাণ মিলে প্রতিটি পন্চাশ কেজির বস্তায় ৫ থেকে ৭ কেজি সিমেন্ট ওজনে কম রয়েছে।
এ ব্যাপারে দোকানে থাকা দোকান মালিক রফিকুল ইসলামকে সিমেন্ট কম থাকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শাহ সিমেন্ট কোম্পানি পরিমাপে কম দিয়েছে এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তার গোডাউনে আর কত বস্তা সিমেন্ট রয়েছে জানতে চাইলে এবং দেখতে চাইলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়,রফিকুল ইসলাম। এলাকাবাসী জানায় এভাবেই দীর্ঘ চার বছর থেকে অসৎ উপায়ে ব্যবসা করে আসছেন রফিকুল ইসলাম।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকালে সহকারি পরিচালক ভোক্তা অধিদপ্তর গাইবান্ধা আফসানা পারভীন অভিযান চলাকালীন সময়ে রফিকুল ট্রেডার্স এর দোকান ও গোডাউন তালাবদ্ধ থাকা রফিকুল ইসলামকে বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে ডাকা হয়। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত না হওয়ায় তার দোকান ঘর ও গোডাউন সিলগালা করা হয়। এবং তাহার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সহকারী পরিচালক ভোক্তা অধিদপ্তর গাইবান্ধা আফসানা পারভীন। এবং যারা সিমেন্ট কিনে প্রতারিত হয়েছেন তারা বিল ভাউচার সহ লিখিত অভিযোগ সহকারী পরিচালক ভোক্তা অধিদপ্তর গাইবান্ধা বরাবর দিতে বলেন।