আব্দুল মুনতাকিন জুয়েল
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় টানা কয়েদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ । জেলার তিস্তা, যমুনা ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরান্ডাবাড়ি , ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর ইউনিয়ন ও সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী ও হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে।
অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই নতুন করে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন শুরু দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪জুলাই) দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে ঘাঘটের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার , তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে করতোয়া গোবিন্দগঞ্জে চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৭৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
বন্যার পানি বাড়ার কারনে জেলার চলাঞ্চলের রাস্তাঘাটসহ বাড়ি – ডুবে গেছে। অনেক ফসল পানি নিচে তলে গেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।