নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আন্দোলনরত ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্মাইল-সিক্রেট অফ ইউর হ্যাপিনেস চট্টগ্রাম শাখার সদস্যরা। আগামী সোমবার জাতিসংঘের বিশেষ জলবায়ু বিষয়ক অধিবেশনকে সামনে রেখে ২০-২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু ধর্মঘট পালনের ডাক দেয় ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব প্রফেসর মোঃ মহিউদ্দিন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জনাব নেছার আহমেদ খান ও তারুণ্যের প্রতীক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি.এম তাওসীফ।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সম্মানিত অতিথিরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রধানত দায়ী ধনী দেশগুলোর সংকীর্ণ স্বার্থ চিন্তা। দায়ী তাদের ভোগবাদী জীবনযাপন পদ্ধতি। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের অবস্থান সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় চার বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত রাখতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চাপে রাখার জন্য অপরাজনীতি করছে উন্নত দেশগুলো। তাদের এই অপরাজনীতির নিন্দা জানিয়ে দ্রুত প্যাারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ আগস্ট সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে সুইডেনের স্কুলপড়ুয়া ছাত্রী (১৬ বছরের গ্রেটা থানবার্গ) একটি প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান নেন। সেখানে লেখা ছিল,‘স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট’। তার এই উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্বর নানা প্রান্তের স্কুল পড়ুয়ারা ধর্মঘট পালন করে। তারই ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের বিশেষ জলবায়ু বিষয়ক অধিবেশনকে সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু ধর্মঘট পালনের ডাক দেয় ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’-এর ব্যানারে সুইডেনের ছাত্রী গ্রেটা ও বিশ্বের তরুণ সমাজ।
ঐ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের এই সংগঠনের মানববন্ধনে অংশ নেন সাধারণ মানুষ ও স্মাইল সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০