ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
রেজিয়া খাতুন (৪৮) কে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কুপ্রস্তাব দেন দেলোয়ার হোসেন ও এন্তাজুল। এতে রাজি না হলে পার্শ্ববতী একটি আমবাগানে তাকে হত্যা করেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার এর কার্যালয়ে হল রুম সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন গত ২৭ মে সকাল পীরগঞ্জ থানাধীন ৯ নং সেনগাঁও ইউপির কানাড়ী গ্রামস্থ আম বাগানের ভিতরে রেজিয়া খাতুন (৪৮) এর লাশ দেখতে পাওয়া যায়। পরে নিহতের ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, অত্র মামলার বাদী জুলফিকার আলী রুবেল (২৮) ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করেন। তার বাবা আনুমানিক ২০ বছর আগে মারা যায়। সে বিবাহিত হওয়ায় তার স্ত্রী ফেন্সি আক্তার (২৭)’সহ তার মা রেজিয়া খাতুন (৪৮) গ্রামে থাকে। এমতাবস্থায় গত ২৬ মে রাত বাদী তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে মায়ের খোঁজ নিতে চাইলে তার স্ত্রী বলেন তার মা বাড়ির বাহিরে গেছেন। পরবর্তীতে তার মা বাড়িতে ফিরে না আসলে তার স্ত্রী এবং বাড়ির অন্যান্য লোকজন একত্রে তার মাকে খুঁজতে থাকেন। খোঁজার একপর্যায়ে গত ২৭ মে সকাল একই গ্রামের মোঃ জাহিরুল ইসলাম (৪৫) এর আম বাগানের ভিতরে প্রতিবেশীরা মৃত রেজিয়া খাতুন (৪৮) এর লাশ দেখতে পায়। পরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপার, ঠাকুরগাঁও এর নির্দেশক্রমে উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পীরগঞ্জ থানা এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা, ঠাকুরগাঁও এর সমন্বয়ে বিশেষ টিম ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নিবিড়ভাবে কাজ শুরু করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ এবং বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অপরাধ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দল একই দিনে হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আসামি ০১) মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৫), পিতা- মৃত তমিজ উদ্দীন, সাং- মালগাঁও এবং ২) মোঃ এনতাজুল (৪৪), পিতা- মৃত ধনীবুল্লা, সাং- কানাড়ী, গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ডিসিস্ট রেজিয়া খাতুন (৪৮)’কে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দেয়। উক্ত কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে তারা রেজিয়ার মুখ চেপে ধরে ও গলায় ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিশ্দ তদন্ত অব্যাহত আছে।