তৌফিক হাসান (তানজিম) কুষ্টিয়া
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্ন–নির্ঘুম রাত কাটছে নারী-শিশু-বৃদ্ধদের
কুষ্টিয়া কুমারখালীতে বয়ে চলেছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এরমধ্যে রাতে ও দিনে তীব্র লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি জনজীবনে বাড়তি যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরাঞ্চলে লোডশেডিং মোটামুটি সহনীয় হলেও গ্রামাঞ্চলে প্রতিদিন বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তি পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা চরম কষ্টে দিন পার করছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের
কুমারখালী যদুবয়রা এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রাত-দিন মিলে অন্তত ছয় থেকে আটবার লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিবার এক ঘণ্টা পর আসছে।
চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ লাল মোহাম্মদ বলেন, আমাদের এখানে বিদ্যুৎ মোটেও থাকছে না। এদিকে কলেজে একাদশ শ্রেণির ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খুব কষ্ট পাচ্ছে। আবার ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। বিদ্যুতের এ অবস্থা থাকলে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন তিনি। এইচএসসি পরীক্ষার্থী আফসানা বন্যা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে চার্জার লাইট অথবা অন্য সামান্য আলোতে পড়তে হচ্ছে। এতে চোখের উপর খুব চাপ পড়ছে।
অপর পরীক্ষার্থী তানিয়া আফরোজ বলেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ অতিথির মতো যায় আর আসে। রাতের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক ঘণ্টার বেশি সময় পরে আসে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ফলাফল ভালো নাও হতে পারে।
যদুবয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মিজানুর রহমান মিজান, জানান কুমারখালী শহর অঞ্চলে নিয়মিত দিনে পাঁচ থেকে সাতবার বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। এর চেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে গ্রামগঞ্জে। কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন যদুবয়রা গ্রামের গ্রাহক ও জয় বাংলা বাজারের ওষুধ ফার্মেসী, দোকানী বি এম আব্দুল ওয়াল জানান, রাতে বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার সঠিক কোনো হিসাব নেই। আধা থেকে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ স্থায়ী থাকে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী বাদশা ইসলাম জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিং এ সাধারণ জীবনযাপন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গরমে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঠিকমতো বসতে পারছি না।