কুতুবদিয়া প্রতিনিধিঃ
কুতুবদিয়ায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা ছাত্রদের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিশেষ সভায় এ দাবী জানান তারা।
কুতুবদিয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে সারাদেশে তাঁর অনুসারীদের ওপর হামলা করেছে সাধারণ মানুষ। ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেরকম কোন অপ্রীতিকর ঘটনা কুতুবদিয়া ঘটেনি। তার প্রমাণ ছাত্রদের উপর হামলা করেও আজকে এই সভায় উপস্থিত হয়েছেন আ’লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা। স্বৈরাচার সরকারের নেতা-কর্মীরা এখনও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। পাড়া ও মহল্লায় বিচরণ করছে এসব সন্ত্রাসীরা।
কুতুবদিয়ায় উপজেলা জামায়াতের আমির আ.শ.ম শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে। এ বিজয়ের একমাত্র কৃতিত্ব ছাত্র-ছাত্রীদের। তাঁরাই পরিবর্তনের সূতিকাগার। তাঁদের সমন্বয়ে এগিয়ে যাবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর কুতুবদিয়ার ছাত্র জনতা বিজয় উল্লাস করেছে। কিছু দুষ্কৃতকারী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। তাদেরকে জামাত -বিএনপি ছাত্র জনতা প্রতিহত করেছে। রাত জেগে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় উপসনালয়গুলো পাহারা দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন পতন হওয়া দলের কারও উপর হামলা করতে দেওয়া হয়নি।
সভায় বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয় বার স্বাধীন হয়েছে। দীর্ঘ সতেরো বছরের টানা দুঃশাসনের কবল থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিয়েছে। এতে আত্মাহুতি দিয়েছেন শহীদ আবু সাইদসহ কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। এ বিজয়ের সম্পূর্ণ অর্জন ছাত্রদের। কোন দুষ্কৃতকারী যাতে ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটাতে না পারে তারজন্য এলাকায় এলাকায় রোভার স্কাউটস ও বিএনসিসির সদস্যদের নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং গঠন করার প্রস্তাব দেন সমন্বয়করা।
সভায় বক্তারা আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মইনুল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার হানিফ বিন কাশেম,ভাইস চেয়ারম্যান আকবর খাঁন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আকতার বিউটি, এসিল্যান্ড শাহাদাত হোসেন, কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবির, নৌবাহিনী কমান্ডার চৌধুরী আয়াত মাহমুদ, কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার, ডাঃ শামীম রেজা,উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমেদ, উপজেলা জামায়াতে আমীর আ,স,ম শাহরিয়ার চৌধুরী, উত্তর ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার, লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান আকতার হোসাইন, দক্ষিণ ধুরুং ইউপির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আযাদ,কৈয়ারবিল ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শফিউল আলম, বড়ঘোপ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম,আলী আকবর ডেইল ইউপির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিকদার, কুতুবদিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোতাহেরা বেগম,বড়ঘোপ ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল আলম, বাপা কুতুবদিয়ার সভাপতি নজরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হাসান কুতুবী, সাংবাদিক লিটন কুতুবী,আবুল কাশেম,মহিউদ্দিন কুতুবীসহ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা কাজী তাহমিদ ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।