সাব্বির হোসাইন, গাজীপুর :
২০২৩ জুলাই মাসের শুরুর দিকে সম্পূর্ণ হয় গাজীপুরে কালীগন্জ উপজেলার চান্দেরবাগ টু বড়গাঁও ১২ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট কালবাট সংস্কার প্রকল্প।ব্রীজের এই কাজ শুরু হওয়ার কথাছিল ২০২২ সালের মাঝামাঝি দিকে।এই প্রকল্পটি করা হয় ত্রাণ ও দূ্র্যোগ ব্যবস্হাপনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধিণে।
এই প্রকল্পের বাজেট নির্মাণের সময় দরা হয় ৬৮ লক্ষ টাকা। যা তাদের নির্মাণ প্রকল্পের বেনারে লিখা ছিল।কিন্তু পরবর্তীতে উদ্বোধনী চাটে লিখা ছিল কার্যাদেশ মূল্য ৬৪,৯৭২৫৯ল লক্ষ টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট।
২০২২ সালের কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ শুরুই হয় ২০২৩ সালে শুরুর দিকে।কিছু দিন কাজ চলমান থাকলেও কয়েক দিন পর কাজ স্থগিত হয়ে যায়)।২০২৪ সালে অসম্পূর্ণ রেখেই কাজ শেষ করা হয়।
২০২৪ সালে ব্রীজটি উদ্বোধন করার কথা মেহের আফরুজ চুমকি এমপি গাজীপুর -৫ এর তবে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।তার পাঠানো প্রতিনিধিরা ব্রীজটি উদ্ভোদন করেন।
ব্রীজটির দুই পাশে সাপোর্ট দেয়াল দেওয়া হয়নি।দেওয়া হয়েছে দুই পাশের রাস্তাতে ইট ।যেখানে পিচ দেওয়ার কথাছিল তাও দেওয়া হয়নি। ব্রীজটি রাস্তা হতে ৩.৫ফুট উচুতে নির্মাণ করা হয়। তার পরিপেক্ষিতে ব্রীজে সাপোর্ট দেওয়াল না করায় বৃষ্টিতে খালের উভয় পাশের ইট খালে পড়ে যায়। ব্রীজের সামনের দেওয়া ইটগুলো সরে গিয়ে মাটি বাহির হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলে কাদার সৃষ্টি হয়। যার কারণে ঠিকমতো গাড়ি চলাচল করতে পারে না।গাড়ি চলার অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই ব্রীজটি। এই সমস্যার কারণে ডাবল গাড়ি ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদেরকে। যার কারণে পায়ে হেঁটে পারাপার হতে দেখা যায় এলাকাবাসীদেরকে।দিন দিন এই সমস্যার বড় আকার ধারণ করতেছে বলে জানিয়েছে স্হানীয় এলাকাবাসী।
এই ব্রীজটি দিয়ে দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ
যাতায়েত করেন।এছাড়াও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত-শত শিক্ষার্থীরা যাতায়েত করে। ব্রীজের সমস্যার কারণে প্রতিনিয়তো শিক্ষার্থীরা সময়মতো ক্লাসে উপস্হিত হতে পারে না। এই পর্যন্ত ব্রীজটি পার হতে গিয়ে ১৫-২০জন ব্যক্তি আহত হয়।
তবে এই সমস্যার দিকে কোন নজর নেই দুই এলাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের।
ভুক্তভুগী এলাকাবাসী মো:মনির (কাদিরের বাপ) বলেন “আমাদের আগের ব্রীজই সস্হির ছিল এই ব্রীজটি সময়মতো কাজ করা হয়নি যা কাজ করা হয়েছে তাও অসম্পূর্ণ রেখেই কাজ শেষ করায় ব্রীজটি চলাচলের অযোগ্য হয়েপড়েছে। আমরা চাই অতিদ্রুতই যেন পূর্ণ সংস্কার কাজ সম্পূর্ন করা হয়।”
এই এলাকার রিকশা চালক মো:ছুমেদ আলী বলেন “এই ব্রীজ দিয়ে যাত্রীসহ আমি যাতায়েদ করতে পারি না। ব্রীজটি অতিক্রম করতে হলে যাত্রীদের নামিয়ে ব্রীজটি পার হতে হয়। বৃষ্টি হলে নানা রকমের দুর্ঘটণার স্বীকার হতে হয় উভয় পাশের কাদার জন্য। আমরা চাই অনিতিবিলম্বে বাকী সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করা হোক। “