শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
করোনা ভাইরোস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে কাপাসিয়ার হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লা, রাস্তার, রাস্তার মোড়ের সকল প্রকার দোকান সোমবার (২৭ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
তবে অনুমতি সাপেক্ষে তালিকাভূক্ত ব্যবসায়ীরা ভ্যানে করে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাড়া-মহল্লায় শাকসবজি, মাছ, মাংস ও কাচামাল বিক্রয় করতে পারবেন।
শনিবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা: ইসমত আরা স্বাক্ষারিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। গাজীপুর জেলার মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত (৭০জন) রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস কাপাসিয়া উপজেলায় যাতে মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়ে, তা প্রতিরোধের লক্ষ্যে কাপাসিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নের ছোট-বড় হাট-বাজারের সমস্ত প্রকার দোকান ও সাপ্তাহিক হাট আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল ব্যবসায়ী, ইজরাদার ও বাজার পরিচালনা কমিটিকে বজার বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এছাড়াও পাড়া-মহল্লা ও বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে বা রাস্তার পাশের সকল চা ও মুদি দোকান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো এবং সকল প্রকার ইফতার সামগ্রী রাস্তার পাশে বা দোকানে বিক্রয় না করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এই আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে শুধুমাত্র ঔষধের দোকান প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, কাপাসিয়া উপজেলার সকল বাজারের শাকসবজি মাছ, মাংস ও কাঁচামাল ব্যবসায়ীর তালিকা সংশ্লিষ্ট বাজারের ইজারাদার বাজার বা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমোদন সাপেক্ষে তালিকাভুক্ত ব্যবসায়ীরা মোবাইল ভ্যানে প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাড়া-মহল্লায় শাকসবজি মাছ, মাংস ও কাঁচামাল বিক্রয় করতে পারবেন এবং কাপাসিয়া উপজেলার সাথে অন্য উপজেলার নৌপথে খেয়া/নৌকা, ইঞ্জিনচালিত বোর্ড/ইঞ্জিনচালিত খেয়ার মাধ্যমে মানুষ/মালামাল পরিবহন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হল।
প্রকাশ, এর আগে গত ১৬ এপ্রিল কাপাসিয়া উপজেলার ৫টি বাজার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। এই ৫ বাজারের মধ্যে ছিলো উপজেলা সদরের কাপাসিয়া বাজার, দস্যু নারায়নপুর বাজার, ত্রিমোহনী বাজার, বীর উজুলী বাজার ও আড়াল বাজার।