শামসুল হুদা লিটন, কাপাসিয়া (গাজিপুর) থেকে:
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ডাম্পট্রাকে চাপা দিয়ে সাংবাদিক মঞ্জুর হোসেন মিলন হত্যাকারী চালক আহাদ মিয়াকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-১ এবং র্যা-১০ যৌথ অভিযান চালিয়ে সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং নিকট আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছেন। র্যাব ফোর্সেস, আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচলক দুপুরে ঢাকার কাওরান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ৪ আগস্ট শুক্রবার সকালে গাজীপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং করোতোয়া ও ভোরের দর্পন পত্রিকার সাংবাদিক শেখ মঞ্জুর হোসেন মিলন কর্মস্থল গাজীপুর থেকে কাপাসিয়ার পাবুর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কাপাসিয়া - ভাকোয়াদী নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া ডাম্পট্রাকটি তাকে সাইড দিচ্ছিল না। ফলে সাংবাদিক মিলন ট্রাকটি থামিয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে সে চালকের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
পরে চালক গাড়িতে উঠে প্রথমে পিছনের দিকে এবং পরে পরিকল্পিত ভাবে হঠাৎ কিছু বুঝে উঠার আগেই গাড়িটিকে সজোরে সাংবাদিক মিলনের উপর উঠিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাংবাদিক শেখ মঞ্জুর হোসেন মিলনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ সময় ড্রাইভার গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।
পরে দুইদফা নামাজে জানাজা শেষে মিলনের লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। ওই রাতেই স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ঘাতক চালককে আসামি করে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ছোটভাই কামাল হোসেন। পরের দিন থানা পুলিশের পরামর্শে এজাহার পরিবর্তন করে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন সাংবাদিকের স্ত্রী রিমিন আক্তার।
প্রেস ব্রিফিং এ র্যাব জানান, গ্রেপ্তারকৃত ডাম্পট্রাক চালক আহাদ গত ৭ বছর যাবত ছোট ও মাঝারী ধরনের যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালনা করতো। গত এক বছর যাবত সে এই ডাম্প ট্রাকটি চালাচ্ছেন। এতোবড় গাড়ি চালানোর জন্য তার লাইসেন্স নাই। ডাম্প ট্রাকটি ৮ টন ধারণ ক্ষমতার হলেও ওই সময় সে ১৪ টন বালি ভর্তি করে বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছিল। গাজীপুর ও কাপাসিয়ার সাংবাদিক সমাজ ঘাতক চালক আহাদ মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছেন।
শামসুল হুদা লিটন
কাপাসিয়া, গাজিপুর
৭/৮/২৩
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০