রফিকুল ইসলাম জসিমঃ
মুসলিম উম্মাহর জন্য আদব কায়দা ধর্মীয় রীতিনীতি ও সঠিক জীবনযাপনের জন্য মক্তব শিক্ষা ব্যাবস্থাই ছিল একমাত্র ভরসা। এ শিক্ষা ব্যাবস্থার মাধ্যমে মুসলিম জাতি কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাতসহ মাসালা মাসায়েল শিশু বয়স থেকে শিক্ষা গ্রহণ করত।
কিন্তু কালের আবর্তনে বর্তমানে দেশে ডিজিটালের ছোঁয়া লাগায়, কিন্টারগাbর্টেন, ক্যাডেট কোচিং ইত্যাদি ব্যাবস্থা থাকায় এই মক্তব শিক্ষকতাকে ছোট করে দেখা সহ প্রভৃতি কারনে এ সময়ে মক্তব শিক্ষা ব্যাবস্থা ক্রমাগত হারাতে যাচ্ছে । ২০১৮ সন থেকে মণিপুরি মুসলিম শিশুদের মক্তব ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম ইসলামি ফাউন্ডেশন আওতায় চলমান ফিরে পাচ্ছে মক্তব শিক্ষা ব্যাবস্থা।
সরেজমিনে গতকাল ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় মণিপুরি মুসলিম পাঙাল সম্প্রদায়ের ” ওলামাদের রাজধানী” খ্যাত আদমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলকপুর গ্রামে “তিলকপুর দারুস সুন্নাহ এবতেদায়ী মাদ্রাসায়” শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ইসলামী ফাউন্ডেশনের আওতায় প্রাক প্রাথমিক শিশুশিক্ষা পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষিকা- রওশন আরা বেগম।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় আদমপুর, ইসলামপুর ইউনিয়নের মণিপুরি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ১৩টি কেন্দ্রে এ শিক্ষা ব্যাবস্থা চালমান রয়েছে।
পূর্বের মক্তব শিক্ষার ঐতিহ্য রক্ষায় ইসলামী ফাউন্ডেশন এই পদক্ষেপ যাতে আমাদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষা সহ ধর্মীয় রীতি নীতির জ্ঞান অর্জন সক্ষম হয় এজন্য প্রতিটি গ্রামে অন্তত একটি করে হলে ও মক্তব থাকা প্রয়োজন মনে করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী, অত্র মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ জনাব নুর মোহাম্মদ (অবঃবিডিআর)। এই সময় উপস্থিত ছিলেন দাতা সদস্য জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন মেম্বার, পৃষ্ঠপোষক- মোঃ আব্দুস সামাদ (বাবু) প্রমুখ।
এই ব্যাপারে মুঠোফোনে মাধ্যমে আলাপ করে, অত্র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ চেরাগ উদ্দিন (বাবু) জানান, অনেক গ্রামে মক্তব না থাকায় এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর বর্তমানে অসচেতনতার কারনে অভিভাবকরা সন্তানদের মক্তবে না পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জনের জন্য কোচিংয়ে পাঠিয়ে দেন। তবে সচেতন মহলের দাবী বাংলা,ইংরেজী,গনিত ও বিজ্ঞানের পাশাপাশি যেন ধর্মীয় মৌলিক জ্ঞান অর্জনের মূলভান্ডার এরকম মক্তব শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।