রেজাউল হোছাইন মামুন:
আজ ৩০ অক্টোবর, জলবায়ু সমস্যা মোকাবেলায় জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কক্সবাজার জেলা বারে সবুজ আন্দোলন এর পক্ষ থেকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষানবিশ আইনজীবি কল্যাণ পরিষদ এর কার্যকরী সদস্য ও কক্সবাজার জেলা বার শাখার সভাপতি মো. রেজাউল হোছাইন মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, আবুল কালাম আজাদ । প্রধান আলোচক ছিলেন, শিক্ষানবীশ আইনজীবী আর.এম. রাসেল।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন প্রসঙ্গ উপেক্ষা করার উপায় আর নেই। তবু বিশ্বনেতাদের অনেকে বিষয়টি পাশে ঠেলে রাখতে চান। তাঁদের কারণে জাতিসংঘ জলবায়ু তহবিলের আকার সন্তোষজনক হচ্ছে না; জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শঙ্কা বাংলাদেশের। তাই আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশকে সোচ্চার হতে হবে। দেশের ভেতরেও বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে হবে।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উন্নয়ন পবিকল্পনা থেকে বিরত থাকতে হবে। জলাধার রক্ষা করতে হবে। নদীর নাব্যতা বাড়াতে হবে, বিল-জলাশয় খনন করতে হবে। বনাঞ্চল বাড়াতে হবে। উপকূলে সবুজ বেষ্টনীর পরিসীমা বাড়াতে হবে। পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে আন্তরিক হতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্জ্য অব্যবস্থাপনা, দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনো ধরনের উদ্যোগ সঠিকভাবে না হওয়ায় এবং অপরিকল্পিতভাবে শিল্পায়নের ফলে আজ চরম ঝুঁকির মধ্যে বাংলাদেশের পরিবেশ। পানির মতো একটি প্রাকৃতিক সম্পদ কোনো ব্যবস্থাপনা ছাড়াই ব্যবহার করা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে। ফলে বাতাসে ছাড়ছে অনিয়মতান্ত্রিক কার্বন। কেমিক্যালের চরম ব্যবহার পানিকে করছে সর্বোচ্চ পরিমাণ দূষিত আর এর সঙ্গে লোকালয়ের বিভিন্ন ধরনের ময়লা তো আছেই। পরিবেশের সুরক্ষা না দিতে পারলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। গড় করে মৃত্যুর হার আর অর্থনৈতিক ক্ষতির যে কথা বলা হচ্ছে, তার চেয়ে বড় সমস্যার দিকে ধাবিত হচ্ছি।
ঢাকার আশপাশের নদীগুলো এখন বিষের নহর। মাটির ব্যালান্সিং ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার জন্য কম্পোজিট পানিই যথেষ্ট। বিভিন্ন দূষক একত্র হয়ে মাটিকে যখন ক্ষতিগ্রস্ত করছে তখন এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি। বাতাসের দূষণ ইটভাটার দিকে গেলেও অন্যান্য দূষণও কিন্তু আরো ৪২ শতাংশ। যখন পরিবেশের বায়ু দূষণের কথা উঠবে তখন সামগ্রিক দূষণ নিয়েই কাজ করতে হবে। আশ্চর্যজনক হারে বন ধ্বংস এবং অসাধু কর্মকর্তাদের চরম দুর্নীতির কারণে দূষণের কবলে পড়ছে মানুষ। নদী বাঁচানোর তাগিদ দেওয়ার চেয়েও নদীগুলোকে আগে থেকেই সংরক্ষণ করতে হবে। বায়োলজিক্যাল ইটিপি স্থাপনে জোর দিতে হবে ।
অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন মুজিবুল হক,আব্দুর রহমান, মো. জিয়াউল হক মানিক, ফারহান খালিদ,নাজিমউদ্দিন কাদেরসহ প্রমুখ।