ঢাকামঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ
  2. সারা বাংলা

ককসবাজার পাসপোর্ট অফিসে নেই কোনো কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ ও শৃংখলা।

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ

Link Copied!

আবুল কাশেম, কক্সবাজার :

গত ৫ই আগষ্ট সৈরাচারের পতনের পর থেকে শুরু হয় নতুন যাত্রা,২৪এর ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশে ভাগ্যাকাশে এনে দিয়েছে নতুন সূর্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার পর থেকে প্রত্যেক সেক্টরে আসতে শুরু করেছে নতুনত্ব।
কিন্তু এখনো সৈরাচারের প্রেতাত্মা উৎপেতে বসে আছে বিভিন্ন সেক্টরে যা ককসবাজার জেলা পাসপোর্ট অফিসে চোখে পড়ার মতো।

কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ,দেখা মিলছেনা পর্যাপ্ত লোকবলের। কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা সাব জবাব দেয় লোক কোথায় পাব। গেইটে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ ও শৃংখলা সরাসরি ভেতরে গিয়ে তর্ক করা যাচ্ছে অফিসারের সাথে।

বাহিরের কিংবা ভেতরের লোক,পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী বা অপ্রয়োজনীয় লোক সরাসরি ঢুকে যাচ্ছে পাসপোর্ট অফিসে।
ফাইলের জন্য শীল দেওয়া হচ্ছে বাহিরে, আবার ফাইল টেবিলে রেখে কোন গার্ড ছাড়াই খালি টেবিল দেখা গেছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
উপরে নিচে নামতে দেখা যাচ্ছে ইচ্ছে মত লোক।

গ্রাহকের সাথে অশুভ আচরণ করতেও দেখা গেছে কতিপয় কর্মকর্তাকে। বাহিরে শত শত মানুষের আহাজারি,কষ্ট নিরবে সহ্য করতে দেখা যাচ্ছে, সুযোগ পেলেই পরিচিতদের ফোন দিয়ে কাজ করে নিচ্ছে বিজলি গতিতে।

নোটিশে লেখা আছে সকাল ৯টা -বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয়। তাই মানুষ পুরো জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসে পাসপোর্ট করার জন্য।

কেউ আসে জীবিকার তাগিদে,কেউ মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য, আবার কেউ আছে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাসপোর্ট করতে।
রয়েছে তাদের মাঝে অনেক জন বয়োবৃদ্ধ লোক, শিশু কিংবা গর্ভবতী মহিলা।
কর্মচারীদের আচরণে তারা চরম অসন্তুষ্ট।
ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায় –আগে প্রতি পাসপোর্ট করতে ১৫০০-২০০০/টাকা তাদেরকে বাহিরের দালাল কর্তৃক প্রদান করে যেতে হইত।
এ পদ্ধতি গ্রহন না করে গেলে সারাদিন দাড় করাই রেখে সন্ধ্যা ফিঙ্গার না নিয়ে কোন রকম ভুল ধরে পাটিয়ে দেওয়া হতো।
বের হওয়ার আগেই লোক আনচার নিয়োগ করে রাখতেন দুই হাজার টাকা দিলে আমি ব্যবস্থা করে দিব,এখন নিরোপায় হয়ে দূর থেকে যাওয়া অসহায় মানুষগুলো সর্বস্ব হয়ে টাকা দিয়ে ফিঙ্গার দিয়ে আসত।

ছাত্র আন্দোলনে সৈরাচার পরাজিত হলে এই প্রেতাত্মারা উৎপেতে বসে আছে, সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়ে তারা বুঝাইতে চাচ্ছে আগের সরকার ভালো ছিল।
কথার ফাঁকে ফাঁকে তারা জনগণকে উস্কে দিতেও দেখা যাচ্ছে,, দেশটা ধ্বংস করে ফেলেছে ছাত্ররা।
টাইম ম্যানেজম্যান্ট টাঙানো থাকলেও তারা এটা ফলো করছেনা,
১২টা আগে থেকেই ফাইল গ্রহণ করা বন্ধ করে দিয়ে দেয়।
অথচ নেই কোনো নোটিশ, কেউ উপরে ফোন দিয়ে ফাইল গ্রহণ করাতে দেখা গেছে।
কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হতেও দেখা গেছে,
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক অনুরোধ করে কয়েক জন মহিলাকে বিশেষ বিবেচনায় ফিঙ্গার দেওয়ার কথা বললে ২০৩ নাম্বারে থাকা মহিলা অফিসার গরম হয়ে যায়।
পরে তাদেরকে করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিলে মহিলা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে।

নোটিশ ছাড়া হঠাৎ ফাইল নেওয়া বন্ধ করা হলে মানুষের কষ্ট হয়,
নিয়ন্ত্রণ ছাড়া অফিস পরিচালিত হলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সুত্রপাত হয়।

দূর্নীতির সুযোগ পেলেই দায়িত্ব পালন করবে, না হয় ঘড়ির কাটা ও কর্কষ ভাষা ব্যবহার করা লোক দিয়ে বিপ্লবের বাংলাদেশ গড়া কঠিন হয়ে পড়বে।
সুতারং খুব দ্রুত প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো অবশ্যই দরকার বলে মনে করছেন পাসপোর্ট করতে আসা ভুক্তভোগী এবং কক্সবাজারের সচেতন মহল।।

153 Views

আরও পড়ুন

শান্তিগঞ্জের জয়কলসে বিএনপির কর্মীসভা

শান্তিগঞ্জে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে সংকেতহীন স্পিড ব্রেকার,দূর্ঘটনার আশঙ্কা

বুটেক্স শিক্ষার্থীদের উপর ঢাকা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের হামলা, আহত অর্ধ শতাধিক

পাঠকের অনুভূতিতে ❝কলিজার আধখান❞

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বিএনপি সন্দেহ করছে–ড. হুমায়ুন কবির

বিশ্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাসের কবিতা:- হাসি

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণসংবর্ধনা ও কাউন্সিল শুক্রবার

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আইডিইবির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ