ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
ঠাকুরগাঁও জেলা তথা উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া আজাদ মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঐতিহ্যবাহী ৬০তম রুহিয়া আজাদ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেযারম্যান মুহাঃ সাদেক কুরাইশী।
মেলা উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় রুহিয়া আজাদ মেলার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম (সার্বিক) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহাঃ সাদেক কুরাইশী বলেন মেলা বাংলার ঐতিহ্য, এই ঐতিহ্য ধরে রাখার দাযিত্ব আমাদের সকলের। বিশেষ করে রুহিয়া আজাদ মেলা এ অঞ্চলের অনেক ঐতিহ্য বহন করে। কোন ভাবেই যেনো এই ঐতিহ্য নষ্ট না হয় সেদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। এ মেলাতে যেনো কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন মেলাতে যেনো যাত্রার নামে অশ্লীলতা না হয়। কারন, এ মেলাটির সাথে এ এলাকার সম্মান জড়িয়ে আছে। মনে রাখবেন রুহিয়া তথা এ এলাকার সর্বোচ্চ সম্মানীয় ব্যক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও -১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব রমেশ চন্দ্র সেনের জন্মস্থান। তাই উনার সম্মানের কথা চিন্তা করে কোন প্রকার সম্মানহানীকর কাজে লিপ্ত না থাকার আহ্বান জানান তিনি৷
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার আলী ভট্টু, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো, সাধারন সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জণ রায়, রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ বাবু, ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু, ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন, ঢোলারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল প্রমুখ।
ঐতিহ্যবাহী রুহিয়া আজাদ মেলা ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে প্রায় মাসাধিককাল চলবে। এ মেলায় গরু, মহিষ, ছাগল, ঘোড়া বেচা-কেনা হয়ে থাকে। বর্তমানে যান্ত্রিক যুগে গরু, মহিষ, ছাগল এখন আর আগের মতন কেনা-বেচা হয়না। তবে গত কয়েক বছর হতে এ মেলায় ঘোড়া বেচা-কেনা হচ্ছে। রুহিয়া আজাদ মেলার সাধারন সম্পাদক ঠাকুর চন্দ্র সেন বিকাশ বলেন, আমরা এখানে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগীতা আয়োজন করে থাকি। এবারেও আমরা এ ধরনের প্রতিযোগীতার আয়োজন করবো আশা রাখি। বিনোদনের জন্য মেলায় থাকবে পুতুল নাচ, সার্কাশ, যাত্রাগান ও নাগরদোলা।