রোকনুজ্জামান সবুজ, জামালপুরঃ
কয়েক দিনের অবিরাম ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরে ইসলামপুর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে চলো মগ্ন হয়ে পড়েছে। যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও পানি মাপক গেজপাঠক আব্দুল মান্নান।
যমুনার ব্রহ্মপুত্র নদ নদীর পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার বারটি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা মধ্যে বর্তমানে আটটি ইউনিয়ন জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন গুলোর মধ্যে পাথশী কুলকান্দি বেলগাছা চিনাডুলি নোয়ারপাড়া সাপধরী ইসলামপুর সদর পলবান্ধা ইউনিয়ন রয়েছে। বন্যার পানিতে ইসলামপুর গুঠাইল উলিয়া,জারুলতলা বাজার ইসলামপুর এবং ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের পচা বলার সাথে রাস্তা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান বন্যার পানি জলমগ্ন হয়ে পরায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩২ টি এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তেরোটি পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উঠতি ফসল পাট,আখ,আমন ধান, কাঁচা তরী তরকারি বীজ তলা পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এভাবে পানি বিদ্যুৎ অব্যহত্যা থাকলে উপজেলার বারটি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা জলমগ্ন হয়ে পড়বে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় হুমকিতে রয়েছে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হাড়গিলা বাঁধ,চিনাডুলী বাঁধসহ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর, ফসলিজমি, রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
হরগিলা বাঁধটি ভাঙ্গন প্রতিরোধে পানির উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান যমুনার পানি বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে সুন্দরতলী গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক বাড়িঘর যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। সিঁদুরতলী সঃ প্রাথঃ বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা যেকোনো সময় নদী গর্ভে চলে যেতে পারে বলে জানান।