মো. সাইফুল ইসলাম(ভোলা প্রতিনিধি):
-মা ইলিশ রক্ষায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর নির্দিষ্ট এলাকায় ২২দিন যাবৎ সব ধরনের মাছ আহরণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।প্রতিবছরের মত এবারও ০৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এ আদেশ বহাল রয়েছে।
বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।রাত ১২টার পর থেকে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হবে এবং জেলেরা মাছ শিকার করতে পারবে।ভোলা সহ দেশের অন্যান্য মৎস আভায়শ্রম গুলোতেও আজ মধ্যরাতে তুলে নেওয়া হচ্ছে নিষেধাজ্ঞ।
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকা ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।৯অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটর এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তুম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় এ নিষেধাজ্ঞা ছিল।মৎস্য বিভাগ জানায়িছে,২২ দিন ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ডিম ছাড়ে; আর তাই ১৯০ কিলোমিটার এলাকা মাছের আভায়াশ্রম। মাছের ডিম ছাড়ার প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
তবে জেলেরা যাতে করে ইলিশ শিকার না করে সে জন্য প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনা সভা করা হয়েছে।ব্যানার, ফেস্টুন বিলবোর্ড ইত্যাদির মাধ্যমে জনসচেতনাতা তৈরী করা হয়েছে। বেআইনি ভাবে যদি কেউ মাছ শিকার করে তার জন্য রয়েছে শাস্তির বিধান।
আইন অমান্য করে মৎস শিকার,পরিবহন,মজুদ,বাজারজাত করন, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় করলে শাস্তি কমপক্ষে ১ বছর থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবে।
তবে ভোলায় এবার অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে প্রায় ১৫০ এর উপরে জেলেকে আটক করা হয়েছে।এদেরকে অন্যায় অনুসারে শাস্তি প্রদান করেছে ভ্রাম্ম্যমান আদালত।মৎস শিকারের দায়ে কমপক্ষে ১বছর ও সর্বোচ্চ ২বছরের কারাদন্ড অথবা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে মৎস শিকারের জন্য প্রয়োজনীয় পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জেলেরা।নতুন জাল ক্রয়,ট্রলার সারানো সহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করা হয়েছে।নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পর ঘাট ছেড়ে মৎস শিকারে যাবে ট্রলার গুলো বলে জানা গেছে।